বছরের শেষ সূর্যাস্ত ও নতুন বছরের প্রথম প্রহরের সূর্যোদয়কে স্বাগত জানাতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর সাগরকন্যা খ্যাত পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। প্রতি বছরের মতো এবারও পর্যটকদের ভিড়ে টইটুম্বুর কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকত।
৩১ সে ডিসেম্বর (শনিবার) বছরের শেষ বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, দর্শনীয় বিভিন্নস্থানকে নতুন করে সাজাতে ব্যাস্ত পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি দর্শনীয় স্থানগুলোতে রয়েছে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়। খালি নেই অধিকাংশ হোটেল-মোটেল। পর্যটকদের আতিথেয়তায় ও সার্বিক নিরাপত্তায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মহিপুর থানা ও কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ। পর্যটকদের পদচারণা এরই মধ্যে জানান দিয়েছে ইংরেজি নতুন বছর ২০২৩ সাল কে স্বাগত জানাতে উৎসবের আমেজের কোনো কমতি নেই।
জানা গেছে, প্রতি বছর শীতের আগমনে পর্যটন মৌসুমের শুরু থেকে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। বিজয় দিবস, বড়দিন, ইংরেজি নববর্ষের ছুটির আনন্দ উপভোগ করতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আগমনে মুখর হয়ে ওঠে সাগরকন্যার দীর্ঘ বেলাভূমি।
হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোতালেব শরীফ বলেন, ‘কুয়াকাটায় সর্বমোট ১৬০টি আবাসিক হোটেল-মোটেল রয়েছে। আমাদের ইতিমধ্যে ৭০ শতাংশ হোটেলের রুম অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে বাকিগুলোও হয়ে যাবে। পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে কুয়াকাটা উৎসবে পরিণত হয়েছে। আমাদেরও ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ হয়েছে।
’’ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা’র সভাপতি মোঃ রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, বছরে যতগুলো বন্ধে কুয়াকাটায় পর্যটকে টইটুম্বুর থাকে তার মধ্যে ইংরেজি নববর্ষ অন্যতম। তাই এই বন্ধকে কেন্দ্র করে আমাদের অনেক আয়োজন রয়েছে। পর্যটকদের আকর্ষণ বৃদ্ধির জন্য হোটেলে সাজসজ্জা, নতুনত্ব, বিশেষ ছাড়সহ বিভিন্ন আয়োজন হাতে নেওয়া হয়েছে।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও,সি) খোন্দকার মোঃ আবুল খায়ের বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুন্দর ও পর্যটকবান্ধব। মহিপুর থানা পুলিশ পর্যটকদের জন্য সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া থার্টিফার্স্ট নাইটে কুয়াকাটা পর্যটকে মুখরিত। পর্যটকেরা কোনো হয়রানির স্বীকার যাতে না হয়, তাই সৈকতসহ পর্যটন স্পটগুলোতে মহিপুর থানা পুলিশ ও কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ সর্বদা তৎপর।