কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ট্রলিং ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ট্রলিং এর ভিতরে থাকা ১৬ জেলেকে উদ্ধার করে স্থানীয় জেলেরা।
সামুদ্রিক মাছ আহরণের উপর সরকারের
৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা আজ (১১ জুন) মধ্যরাতে শেষ হবে। এই শেষ মুহূর্তে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরতে গিয়ে বঙ্গোপসাগরের পায়রা বন্দরের শেষ বয়া এলাকায় ‘এফবি আনোয়ারা’ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলিং ডুবির ঘটনা ঘটেছে।
ট্রলিংটিতে থাকা ১৬ জন মাঝিমাল্লা প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে এ দূর্ঘটনার ঘটে।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা বলেন কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপি ইউনিয়নের আলিপুর নজরুল কোম্পানি মালিকানাধীন ট্রলিং নিয়ে সোমবার বিকেলে সাগরে মাছ ধরার উদ্দেশ্য গভীর সমুদ্রে যাত্রা করেন। লক্ষাধিক টাকার সরঞ্জাম নিয়ে তারা সমুদ্রে নামেন। যাত্রা পথেই এ ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া ট্রলিংটি আনুমানিক বাজার মূল্য দেড় কোটি টাকা।
মঙ্গলবার বিকেল থেকে ট্রলিংটি ঢেউয়ের তোড়ে ফেটে ভেতরে পানি ঢুকতে শুরু করে। পাওয়ার পাম্প দিয়ে পানি সেচেও কাজ হয়নি। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ৭টার দিকে ট্রলিংটি ডুবে যায়। ডুবির পরপরই ট্রলিং এ থাকা জেলেরা মালিকপক্ষকে ফোনে খবর দিলে স্পিডবোট পাঠিয়ে প্রায় আড়াই ঘন্টা পর প্রথম দফায় ৬ জন ও দ্বিতীয় দফায় ১০ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়
মাঝি মজনু ফরাজী বলেন, হঠাৎ ট্রলিং এর ভিতর প্রচুর পানি উঠতে শুরু করে। আমরা খোঁজাখুৃঁজি করেও পানির ওঠার স্থান পাইনি। এর পরে জীবন রক্ষা জন্য দ্রুত কিনারায় আসার জন্য মাঝিকে চালাতে বলি। আমরা বালতি, থাল দিয়া পানি সেঁচতে থাকি তবে এত পরিমান পানি উঠে যা বলে বুঝানো যাবে না।
তিনি আরো বলেন, পায়রা বন্দরের শেষ বয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে কিনারায় আসতেই মাঝপথে বসে হঠাৎ পানি উঠে ট্রলিংটি তলিয়ে যায়। পরে স্পিড বোডের মাধ্যমে আমাদের কে উদ্ধার করে জেলেরা।
উদ্ধার হওয়া জেলেদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে তারা হলেন-রহমান মাঝি (৪০) মজনু ফরাজি (৪২) সবুজ (৩০) এনায়েত হোসেন(৪৮), মেজবাউদ্দীন মিজু (৩৭) সজিব (২২) নাসির, হৃদয় ও মুছা।
কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ কেন্দ্রের ইনচার্জ বিকাশ মণ্ডল জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নন। এবিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞার শেষ মুহূর্তে হয়তো চুরি করেই তারা সাগরে গিয়েছিলেন৷
এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা’র মুঠোফোন একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।