কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটার লতাচাপলী ইউনিয়নে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে শহিদুল ফকির (৪০) নামে এক জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সোহেল ফকির নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সোহেল নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ক্যাডার নজরুল ফকিরের ছোট ভাই বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পশ্চিম খাজুরা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নিহত শহিদুল ওই গ্রামের মৃত আলী ফকিরের ছেলে এবং স্থানীয় একটি মাছ ধরার ট্রলারের মাঝি ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শহিদুলের ট্রলারের এক স্টাফের কাছে সোহেল ফকিরের ২ হাজার ৪০০ টাকা পাওনা ছিল। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সোহেল হঠাৎ করে একটি ভারী কাঠের টুকরো দিয়ে শহিদুলের মাথায় আঘাত করেন। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ হোসেন বলেন, ‘গুরুতর মাথায় আঘাতজনিত কারণে রোগী হাসপাতালে আসার আগেই মারা যান বলে ইসিজি পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া গেছে।’
নিহতের ছেলে সজল (১৯) অভিযোগ করে বলেন, ‘সোহেল ফকিরের পাওনা টাকা আমি পরিশোধ করেছিলাম। তারপরও তিনি বাবাকে গালিগালাজ করে, হঠাৎ কাঠের টুকরো দিয়ে মাথায় আঘাত করলে বাবার মৃত্যু হয়।’
লতাচাপলী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে এলাকায় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কিছু লোক কুকর্ম করে যাচ্ছে। শহিদুল ফকিরকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং জড়িতকে দ্রুত গ্রেফতার করে বিচার দাবি জানাচ্ছি।’
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত সোহেল ফকির থানার তালিকাভুক্ত এবং একাধিক মামলার আসামি। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ এবং ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন এলাকাবাসী।