ডেস্ক রিপোর্ট।। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে সিকদার রিসোর্টের স্থাপনা বীচ ক্লাব গুড়িয়ে দিয়েছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন। শুক্রবার দুপুরে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিকদার রিসোর্ট এন্ড ভিলাস কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কামরম্নল হাসান ও নঈম উদ্দিন এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শংকর চন্দ্র বৈদ্য উপস্থিত ছিলেন। উচ্ছেদ অভিযানে মহিপুর থানা পুলিশ সহায়তা করে।
জানা গেছে, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পুর্বদিকে জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন বীচ ক্লাব নামে একটি কফি হাউজ নির্মাণ করে সিকদার গ্রম্নপ। সৈকতের কোল ঘেষে গড়ে তোলা এই স্থাপণাটি সরকারী জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে স্থাপনাটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়। জেলা প্রশাসন জানান, কুয়াকাটা বেড়ীবাধেঁর বাইরে ৭৩ একর জমি নিয়ে সরকার বনাম পাবলিকের সাথে ৫০ বছর ধরে আদালতে মালিকানা দাবী নিয়ে মামলা চলে আসছিল। গতকাল ১০ অক্টোবর এ মামলায় সরকারের পক্ষে রায় দেন জেলা জজ আদালত। এই রায় কার্যকর করতে সৈকতে সিকদার গ্রম্নপের এই স্থাপণাটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
সিকদার রিসোর্ট এন্ড ভিলাসের ল্যান্ড বিষয়ক সমন্নয়কারী রম্নমী ইমরোজ রশীদ অভিযোগ করে বলেন, সিকদার গ্রম্নপ কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মনির আহম্মেদ ভূইয়া গংদের কাজ থেকে দেড় একর ভূমি ক্রয় করে। পর্যটকদের বিনোদনের কথা বিবেচনায় নিয়ে তাদের ক্রয়কৃত জমিতে বীচ ক্লাব নামে একটি কফি হাউজ নির্মাণ করা হয়। যা সম্পুর্ণ বৈধভাবে করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসন কোন পুর্ব নোটিশ ছাড়াই আত্মপক্ষ সমর্থনের সূযোগ না দিয়ে তাদের কোটি টাকার স্থাপনাটি ভেঙ্গে ফেলে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কামরম্নল হাসান ও মোঃ নঈম উদ্দিন বলেন, সিকদার গ্রম্নপ সৈকতে সরকারী জমিতে অবৈধভাবে এই স্থাপণাটি নির্মাণ করেছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে স্থাপণাটি উচ্ছেদ করা হয়েছে। তারা আরও বলেন, সরকারী জমি উদ্ধারে এ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।