আরিফ সুমন ( ডেস্ক রিপোর্ট)।। কুয়াকাটায় ভ্রাম্যমান আদলতের ধারাবাহিক অভিযানের প্রতিবাদে অনিদৃষ্ট সময়ের জন্য ধর্মঘট পালন করছে খাবার হোটেল মালিক সমিতি। এতে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের পোহাতে হচ্চে চরম দুর্ভোগ। বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে কুয়াকাটা পর্যটন শিল্প।অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি, ফ্রিজে বাসি পচা দুর্গন্ধযুক্ত খাবার সংরক্ষণ ও বিক্রয় এর অপরাধ রোধে প্রায় মাসব্যপি অভিযান চালিয়ে আসছে ভ্রাম্যমান আদালত। এতে প্রায় অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠাকে গুনতে হয়েছে বিভিন্ন অংকের অর্থিক জরিমানা। জানা যায়, গত ১৬ ই আগষ্ট পঁচা এবং বাসী খাবার সরবরাহ করার অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪৩ ধারায় কুয়াকাটার ৪ টি খাবার হোটেলে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন ভ্রাম্যমান আদালত। ভ্রাম্যমান আদালত নামে লাগাতার তাদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা। তাই এই আর্থিক জরিমানা নামের হয়রানি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত সকল খাবার হোটেল বন্ধ রেখে অনির্দিষ্ট কালের জন্য এই কর্মসূচি পালন শুরু করবে খাবার হোটেল ব্যবসায়ীরা । কিন্তু কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা খাবার সংকটে দিশেহারা। কুয়াকাটা থেকে ৪ কিলোমিটার দুরে গিয়ে খাবার খেতে হচ্ছে বেড়াতে আসা পর্যটক। এই ধর্মঘটক কুয়াকাটাকে ভাগ নেতিবাচক দিকে ইঙ্গিত করছেন অধিকাংশ বিনিয়োগ কারী। এতে পর্যটন শিল্প ব্যপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বলে অনেকের ধারনা। গোপালগঞ্জ থেকে আগত পর্যটক মাজহারুল ইসলাম বলেন।তারা ১১ জন বন্ধু মিলে কুয়াকাটায় ঘুরতে এসেছেন। তবে সেই ভোররাতে গাড়ি থেকে নেমে দুপুর পর্যন্ত খাবার খেতে পারেন নি তারা এমকি ২-১ টা চায়ের দোকান ছাড়া কোন দোকানপাট খোলা নেই কুয়াকাটায় এতে তারা চরম হতাশা ব্যাক্ত করেছেন।
সুমানগঞ্জ থেকে আগত পর্যটক আব্দুর রহিম মিয়া বলেন তারা পরিবারের ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৩০ জন সকালে এসে নেমেছেন কুয়াকাটা। সকাল থেকে সব খাবার হোটেল ও খাবার দোকানপাট বন্ধ থাকায় ছোট বাচ্চাদের নিয়ে তারা চরম ভোগান্তিতে পরেছেন। এতে কুয়াকাটা পর্যটক বিমুখ হয়ে যেতে পারে বলে অনেকের ধারনা।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র মোঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, কুয়াকাটা মানসম্মত খাবার পরিবেশন সকলের কাম্য। কুয়াকাটা খাবার নিয়ে পর্যটকদের বিভিন্ন অভিযোগগুলোর নিষ্পত্তি হওয়া দরকার। তিনি এই বিষয় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলেছেন এবং তিনি এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। সব কিছু বিবেচনা করে মাননীয় জেলা প্রশাসক সিদ্ধান্ত দিবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।