আরিফ সুমন (ডেস্ক রিপোর্ট) ।।
পটুয়াখালীর মহিপুরে পূর্নবাসনের দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। স,ও,জ এর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এই কর্মসূচি পালন করেন।
৩০ শে মার্চ ( বুধবার) সকাল ১০ টার দিকে মহিপুর শেখ রাসেল সেতুর নিচে এসকল ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা তাদের পুর্নবাসনের দাবীতে এই অনশন কর্মসূচি পালন করেন। গত ২৭ শে মার্চ ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে এই অনশন কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছিল।
জানা যায়, গত ২২ শে মার্চ (মঙ্গলবার) সড়ক ও জনপদের জমির আওতাধীন গড়ে ওঠা সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে স,ও,জ অধিদপ্তর। এই অভিযানে মহিপুর শেখ রাসেল সেতুর নিচে এবং দু’পাশে গড়ে ওঠা স্থাপনা ভেঙ্গে দেয় স,ও,জ । উক্ত অভিযানে প্রায় শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে দেওয়া হয়। এতে এই সকল ব্যবসায়ীরা সহায়সম্বলহীন হয়ে পরে। একমাত্র আয়ের উৎস হারিয়ে এখন তাদের পরিবার নিয়ে দিশেহারা। অধিকাংশ ব্যবসায়ীদের মাথার উপর রয়েছে বিভিন্ন এনজিওর ঋনের বোঝা। গত দুই বছর করোনার সুরক্ষার জন্য সারাদেশের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো। যাতে তাদের লোকসান দিতে দিতে পুঁজি হারিয়েছে এক প্রকার নিঃস্ব হয়ে গেছে। করোনা পরিস্থিতি ঠিক হলে বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিয়ে আবারও ব্যবসা শুরু করে তারা, কিন্তু হঠাৎই সড়ক ও জনপদের এই উচ্ছেদ অভিযানে আবারো নিঃস্ব করে দিলো তাদের। এদিকে এনজিওর ঋনের কিস্তি পরিশোধ করার তাদের অন্যকোন উপায় নেই।
এ সময়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোঃ মাসুম বলেন , অত্যন্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আমাদের উপার্যনের একমাত্র উৎস ব্যবসায়।এ ব্যবসায় বন্ধ থাকলে আমাদের ছেলে সন্তান অনাহারে ভুগবে, তাই আামাদের ছেলে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে তাদের পূর্নবাসনের ব্যবস্থা গ্রহন করার অনুরোধ করেন।
মহিপুর ব্যবসায়ী কমিটির সদস্য শ্রী বিধান দাস বলেন, মহিপুর একটি ছোট্র হাট ছিলো আমাদের পূর্বপুরুষরা অক্লান্ত পরিশ্রমে পটুয়াখালীর মধ্যো অন্যতম শহরে রুপান্তরিত হয়েছে। আমাদের পূর্বপুরুষদের ধারাবাহিকতায় এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্ম ব্যবসায় করে আসছি। আমাদের জীবন জীবিকার একমাত্র উৎস ব্যবসায় আমরা দোকান ভাঙ্গার পর থেকে মানবেতর জীবনযাপন করতেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের পূর্ণবাসন না করা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা অনশন থেকে উঠবো না। বাড়িতে গিয়েও খেতে না পেয়ে মরে যাব তার চেয়ে এখানে থেকে মরা অনেক ভালো।
এসময় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ক্ষতিগ্রস্থ অনেক ব্যবসায়ী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তার সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের কাছে একটাই অনুরোধ সবার, এসকল ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পূর্নবাসন করে নতুন ব্যবসা করার সুযোগ করে দিবেন।