নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী, ৫ ফেব্রুয়ারি।। বাংলা ভিষণ টেলিভিশনের কলাপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি ও কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরণকে বেধড়ক কুপিয়ে হাতের রগ কর্তনসহ হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে কুয়াকাটায় সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ মানববন্ধন করেছে।
কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে বুধবার দুপুরে এ মানববন্ধন করা হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাব সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার, সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির, কুয়াকাটা পৌর জামায়াতের আমির মো. শহিদুল ইসলাম। পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন ঘরামি,বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান, ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার সেক্রেটারি জেনারেল জহিরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রেদওয়ানুল ইসলাম রাসেল। বক্তারা আগামি তিনদিনের মধ্যে বর্বর, নৃশংস এই হামলায় জড়িত সন্ত্রাসী গ্রেপ্তারের দাবি জানান। পাশাপাশি তিন দিন বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন অব্যাহত থাকবে। অন্যথায় বৃহৎ কর্মসূচি পালন করা হবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে একদল সশস্ত্র দূর্বৃত্ত কুয়াকাটা পৌরসভায় নিজ বাসার সামনে মিরনের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় । তাকে বেধড়ক কুপিয়ে এক হাতের রগ কেটে দেওয়া হয়। অপর হাতের কব্জি বরাবর কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। মাথা,চোখ, পেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেধড়ক কুপিয়ে অচেতন অবস্থায় ফেলে রাখা হয়। পরিবারের দাবি হত্যার টার্গেট নিয়ে মিরনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে স্বজনসহ স্থানীয়রা উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জরুরি বিভাগের চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল প্রেরণ করেন। সেখান থেকে আজ বুধবার ভোরে ঢাকায় নিয়ে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা আরো জানান, মিরন ঢাকা থেকে মঙ্গলবার মধ্য রাতেই ফিরেছেন। গাড়ি থেকে নেমে বাসায় ফিরছিলেন। বাসায় ঢোকার আগমুহূর্তে সশস্ত্র দূর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। মিরন ডাক-চিৎকার করে লুটিয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যসহ আশপাশের লোকজন দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। মিরনের এক হাতের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। অন্য হাতের কব্জি বরাবর ঝুলিয়ে দেয়। এছাড়া কপালে, মাথায়, পেটে হাতেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য কোপের ক্ষতচিহ্ন রয়েছে।
মহিপুর থানার ওসি মোঃ তরিকুল ইসলাম জানান, তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। বিভিন্ন সিসি টিভির ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
#
০৫-০২-২০২৫