দীর্ঘ বিড়ম্বনা কাটিয়ে অবশেষে চালু হয়েছে মহিপুর মৎস্য অবতরন কেন্দ্র। ১৯৮০ মিটার নতুন সংযোগ সড়কসহ সকল আধুনিক সরঞ্জাম থাকা স্বত্বেও, উদ্বোধনের দীর্ঘ ১৮ মাস পর চালু হলো সরকারের ১৩ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত মহিপুর মৎস অবতরণ কেন্দ্রটি।
১০ ই মার্চ (শুক্রবার) সকাল ৬ টার দিকে বাংলাদেশ মৎস উন্নয়ন কর্পোরেশন চেয়ারম্যান ও গনপ্রজাতন্ত্রী সরকারে অতিরিক্ত সচিব কাজী আশরাফ উদ্দীন এর উপস্থিতিতে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের কার্যক্রম চালু করা হয়। এ সময়ে মহিপুর বন্দর মৎস্য আড়ৎদার সমবায় সমিতি, মৎস্য পাইকার সমিতি ও মৎস্য ব্যবসা সংশ্লিষ্ট সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম মহিপুর ও আলিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র দুটি উদ্বোধন করেন। সূত্রমতে, বিগত ২০১২ ইং সালে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। তবে জমি অধিগ্রহণ করতেই সময় লাগে প্রায় ৪ বছর। এরপর ২০১৬ ইং সালে এর স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু করে সংস্থাটি। অবশেষে গতবছরের সেপ্টেম্বরে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়। এ সময়ে তিনটি উপকূলীয় জেলায় ৫৯ কোটি টাকা ব্যায়ে চারটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের নির্মান কাজ শেষ করেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)।
উল্লেখ্য, মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ১০ হাজার স্কয়ার ফিটের আইসপ্লান্ট, মাছ ট্রলার থেকে নামানোর জন্য নির্মান করা হয়েছে উন্নত মানের পল্টুন ও গ্যাংওয়ে, ১ হাজার স্কোয়ার ফিটের ওয়ার্কশন সেট, মাছ প্যাকেজিং করার জন্য আলাদা প্যাকেজিং সেট, আড়ৎদারের জন্য অফিস রুম, আধুনিক সেনিটেশন ও পয়ঃনিস্কাশনের ব্যবস্থা। এছাড়াও মাছ পরিবহনের জন্য তৈরি করা হয়েছে সাত হাজার স্কোয়ার ফিটের ট্রাক স্টান্ড।
মহিপুর মৎস অবতরণ কেন্দ্রর মার্কেটিং অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, মৎস ব্যসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত জায়গা ও প্লাটুন না থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাবসায়ীরা মার্কেট বিমূখ ছিলেন। বর্তমানে মৎস্য পাইকার সমিতির সদস্যদের জন্য বিএফডিসি মার্কেট সংলগ্ন ৪০ টির বেশি ঘর স্থাপন করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন,
মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশেন চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশে গনপ্রজাতন্ত্রী সরকারে অতিরিক্ত সচিব মহোদয় কাজী আশরাফ উদ্দিন মহিপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সাথে এক্ধিক সমন্বয় সভার মাধ্যমে এই কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।