কুয়াকাটা প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর মহিপুরে বেড়েছে গৃহবধূ আত্মহত্যার প্রবানতা। মাত্র ছয়দিনের মাথায় মহিপুরে কুয়াকাটা থেকে সিলং ফ্যানের সাথে ঝুলান্ত এক নববধূর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে মহিপুর থানা পুলিশ।
গত ২ ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা আনুঃ ৭ টার দিকে কুয়াকাটা ০৮ নং ওয়ার্ড ( পাঞ্জুপাড়া) সুমন কর্মকারের ভাড়া বাসার জানালা থেকে মোসাঃ সাথী আক্তার (১৫) নামে এক গৃহবধূর সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলান্ত মৃতদেহ দেখতে পায় প্রতিবেশীরা। পরবর্তিতে তারা মহিপুর থানায় খবর দিলে, মহিপুর থানা পুলিশ দরজা ভেঙ্গে নিহত গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে।জানাযায়, মৃত সাথী আক্তার (১৫) কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের ছইলা বুনিয়া গ্রামের হারুন সরদারের বড় মেয়ে। মাত্র দুই মাস আগেই ভালোবেসে পালিয়ে বিবাহ করেছিলো জাহিদ নামে এক মেকানিককে। নিহত’র বাবা মোঃ হারুন সরদার জানায়, তার মেয়ে সাথী আক্তার (১৫) এস,এস, সি পরীক্ষার্থী ছিলেন । তার তিন সন্তানের মধ্যে সাথী সবার বড়। ওই ছেলের সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। পরবর্তী তারা কুয়াকাটায় ভাড়া বাসায় থাকতো। বাড়ির মালিক, সুমন কর্মকার জানান, গত একমাস আগে তার বাড়িতে একটি রুমে ভাড়ায় ওঠে দম্পতি। গতকাল সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে তার বোনের ফোনে জানতে পারে জানালা দিয়ে নিহতের মৃতদেহ ফ্যানের আংটার ঝুলছে। পরবর্তিতে পুলিশ দরজা ভেঙ্গে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও,সি) মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভেঙে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আত্মহত্যার পূর্বে নিহত সাথী আক্তার একটি সুইসাইড নোট লিখে যায়। আমরা তদন্তের স্বার্থে বর্তমানে নোটটি গোপন রাখছি। তার নিকটতম আত্মীয়দের কাছে নিহতের মৃতদেহ হস্তান্তর করে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করবো