আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় রোববার থেকে ‘এক কোটি পরিবারের’ কাছে কম দামে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। রমজানের আগে ও রমজানের মধ্যে দুই দফায় ফ্যামিলি কার্ডে মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য কিনতে পারবেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
আরিফ সুমন (ডেস্ক রিপোর্ট)।।
পটুয়াখালীর মহিপুর সদর ইউনিয়নে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পণ্য বিক্রির প্রথম ধাপ শুরু হয়েছে আজ। উক্ত ইউনিয়নে ১০০০ নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে এই পন্য বিক্রয় করা হবে।
২৩ শে মার্চ বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে মহিপুর থানা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ ফজলু গাজী এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। টিসিবির পণ্য দোকানে বিক্রি করা ঠেকাতে সরকারের বিশেষ নির্দেশনায় ফ্যামেলি কার্ড ব্যবস্থা চালু করা হয়। এই স্পেশাল কার্ড দিয়ে উপযুক্ত গ্রহীতারা ন্যায্যমূল্যে জিনিস কিনতে পারবেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির আঁচ থেকে স্বল্প আয়ের মানুষকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঢাকা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের বাইরে সারা দেশের ৮৭ লাখ ১০ হাজার ‘ফ্যামিলি কার্ডধারী’ এ পণ্য পাবেন। এছাড়া ঢাকা সিটির ১২ লাখ এবং বরিশাল সিটির ৯০ হাজার উপকারভোগীর মধ্যে আগের মতো কম দামে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম চলবে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গত শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেছেন, এটি সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের ৫ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন। এই কার্যক্রমে কোনো ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি পেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
এসময়ে কার্ডধারীরা দুই লিটার ভোজ্য তেল, দুই কেজি চিনি, দুই কেজি মসুর ডাল ও পাঁচ কেজি পেঁয়াজ পাবেন। সব পণ্য একটি প্যাকেটে ভরে দেওয়া হবে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১১০ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ৫৫, মসুর ডাল ৬৫ ও পেঁয়াজ ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে রমজানের শুরুতে ৩ এপ্রিল থেকে আরেক বার এসব পণ্য দেওয়া হবে। এবার এসব পণ্যের সঙ্গে দুই কেজি ছোলা দেওয়া হবে। ছোলার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা। এই কর্মসূচির জন্য ২ কোটি লিটার সয়াবিন তেল, ৪০ হাজার টন চিনি, ৪০ হাজার টন মসুর ডাল, ৪০ হাজার টন ছোলা এবং ২৫ হাজার টন পেঁয়াজ প্রয়োজন হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।