মহিপুর প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর মহিপুরের আলোচিত আলমগীর বাহিনীর সন্ত্রাসী হামলায় আবারও ২ জন গুরুতর আহত হয়েছে। জোর করে জমি দখলে বাঁধা দেওয়ায় এই সন্ত্রাসী হামলা করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনা সূত্রে জানাযায়, গত ২১ শে জানুয়ারি (শুক্রবার) আনুমানিক সকাল ৮ টার দিকে মহিপুর ইউনিয়নের সুধীরপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মহিপুর থানা পুলিশের নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বত্তেও চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও আলোচিত কুয়াকাটা পর্যটক হয়রানি মামলার অন্যতম আসামী মোঃ আলমগীর হোসেন (৪২) ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী জোর করে মোঃ জলিল হাওলাদারের বসত ভিটা দখল করার চেষ্টা করে। কিন্তু উক্ত বসত ভিটার প্রকৃত মালিক মোঃ জলিল হাওলাদার ও তার ভাগিনা মোঃ রাসেল হাং (৩০) জমি দখলে বাঁধা দিলে আলমগীরের সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্র দা, ছেনা এবং রড় দিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। উক্ত হামলায় জলিল হাওলাদারের মাথায় আঘাত ও হাতের আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং রাসেল হাং এর মাথা ও শরিরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে মারাত্বক জমখম করে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মহিপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আলমগীর ও তার বাহীনী পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরন করে।
কলাপাড়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক অনুপ কুমার পাল জানান, রাসেল হাওলাদারের মাথায় কোপের জখম থাকায় অবস্থা খুবই গুরুতর ছিলো। তার মাথায় ১৩ টি সেলাই হয়েছে এবং তার ডান হাত ভেঙ্গে গেছে। অপর ব্যক্তি জলিল হাওলাদারের হাতের আঙ্গুল কর্তন এবং মাথায় একাধিক যায়গায় জখম ও কপাল ফেটে গেছে। তাই তাদেরকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা দিয়ে ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আহত রাসেল হাওলাদারের মা মোসাঃ আলেয়া বেগম বাদি হয়ে গত ২৩ শে জানুয়ারি কলাপাড়া সিনিঃ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলার সত্যতা আমলে নিয়ে উক্ত আসামীদের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেফতার হয়নি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।