কলাপাড়া উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর কাঠের সেতু ভেঙ্গে পড়ায় বিদ্যালয়ের পাঠদান বঞ্চিত প্রায় শতাধিক প্রাথমিক শিক্ষার্থী। দুর্ভোগে পড়ছে ৪ গ্রামের মানুষ। সেতু নির্মানের টেন্ডারের বছর পেরিয়ে গেলেও দেখা মিলছেনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের। স্থানীয়দের দাবি নতুন সেতু নির্মান করে দুর্ভোগ লাগবের।
সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলার ০৪ নং মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের (চরপাড়া) ও ১১ নং ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের ( রসুলপুর) ৩ যুগেরও বেশী সময় ধরে একমাত্র ভরসা একটি ভাঙ্গা কাঠের সেতু। দুই ইউনিয়নের শিক্ষা ও বানিজ্যিক মৈত্রী সংযোগ স্থাপন করে আসছে এই কাঠের সেতুটি। যার বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত শিকার হতে হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিশু শিক্ষার্থীসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষের। এই দুই ইউনিয়নের বানিজ্যিক ও শিক্ষা ব্যবস্থা পরস্পরের অবিচ্ছেদ্য অংশ । মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের চরপাড়া ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের প্রায় শতাধিক শিশুদের প্রথমিক শিক্ষার জন্য নির্ভরশীল হতে হয় ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই বিদ্যালয়েরর সাথে একমাত্র সংযোগ এই ভাঙ্গা কাঠের সেতু। সেতুটি পার হয়ে প্রতিদিন শতাধিক শিক্ষার্থীদের যেতে হচ্ছে বিদ্যালয়ে। সামান্য বৃষ্টি হলে দুর্ভোগের আর অন্ত থাকেনা। ইতোপুর্বে এ সেতু পার হতে গিয়ে দূর্ঘটনার শিকার হতে হয়েছে শিশু শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষের। প্রতিদিনই শিশু শিক্ষার্থীদের কাঁধে বই নিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পাড় হতে হয় এই কাঠের সেতু। যেটা বর্তমানে ১৫ দিন পূর্বেই সম্পূর্ণভাবে ভেঙ্গে গেছে। নতুন বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীরা বিদ্যালেয়ের পাঠদান বঞ্চিত হতে হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে, চাঁদা তুলে ইতিপূর্বে মেরামত করা হয়েছে একাধিক বার। সেতুটি ভেঙ্গে পড়ায় যেমনি বিদ্যালয়ের পাঠদান বিচ্ছিন্ন শিক্ষার্থী, তেমনি বানিজ্যিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেগাছিয়া, ডালবুগঞ্জ ও মহিপুরের হাট। এ বিষয়ে ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ শাহাবুদ্দীন বলেন, এই কাঠের সেতুটি ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে প্রতিবছরই সংস্কার করা হয়েছে। উক্ত সেতু নির্মানের টেন্ডার হয়েছে শোনা গেলেও দেখা মিলছে না ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের। এছাড়া কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন বলে তিনি জানান।