অবশেষে কলাপাড়ার আলোচিত দুর্নীতিবাজ পি,আই,ও শ্রী তপন কুমার ঘোষকে সরকারি চাকুরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। চাকুরি থেকে বরখাস্তের এ আদেশ অবিলম্ব কার্যকর করার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থপনা ও ত্রাণ মণ্ত্রালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব, ত্রান প্রশাসন-১, তানভীর-আল-নাসীফ স্বাক্ষরিত আদশর অনুলিপি মন্ত্রী পরিষদ সচিব, জন প্রশাসন সচিব, দুদক সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের প্রেরণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রানলয়ের সচিব মা. কামরুল হাসান এনডিসি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
তথ্য সূত্র জানা যায়, ২৬ নভেম্বর ২০১৯ তারিখ ৩১৬নং স্মারক কলাপাড়া ইউএনও মা. মনিবুর রহমানের স্বাক্ষর জাল করে ¯স্কানের মাধ্যমে সংযুক্ত করে এইচবিবি (২য় পর্যায়) প্রকল্পের ১৫টি প্রকল্পের প্রস্তাব দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে প্রেরণ করেন। এরপর তিনি কানো কাজ না করেই ইউএনও’র স্বাক্ষর জাল করে ১ কাটি ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ২৩ জুলাই ২০২০ তারিখ উত্তালন করেন। তপন কুমার ঘোষ উপজলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (১ম শ্রণী) হিসেবে জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলায় কর্মরত থাকাকালীন ইউএনও মাশফাকুর রহমান এর স্বাক্ষর জাল কর এইচবিবি (২য় পর্যায়) প্রকল্পের ১৯ নভেম্বর ২০১৯ তারিখ ২৭৪ নং স্মারক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে পত্র প্রেরণ করেন। অধিদপ্তরের ভুয়া স্মারক পত্র জারি দখিয়ে নভেম্বর ২০১৬ থেকে এপ্রিল ২০১৭ পর্যন্ত তার ¯বিগত থাকা বেতন ২৪ মার্চ ২০২০ উত্তোলন করন।
উল্লেখ্য, পিআই ওর এ দুর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশের পর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উপসচিব কাজী শফিকুল আলমকে তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়। তদন্তে তপন কুমার ঘোষ এর বিরুদ্ধ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) ২০১৮ এর ৩ (খ) ‘অসদাচরণ’ ও ৩ (ঘ) বিধি অনুসার ‘দুর্নীতি পরায়নতার’ অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাই একই বিধিমালার ৪(৩)(ঘ) বিধি অনুসারে তাকে চাকুরী থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়।