আরিফ সুমন /অনলাইন ডেস্ক।।
উদ্বোধনের দশ মাস পরেও চালু হয়নি পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য অবতরন কেন্দ্র। সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্বেও, বঞ্চিত জেলে ও মৎস ব্যবসায়ীরা। জনশূন্য ও কর্ম্যহীন পড়ে আছে সরকারের ১৩ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত এই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি।
জানাযায়, ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম মহিপুর ও আলিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র দুটি উদ্বোধন করেন। কিন্তু মহাসড়কের সাথে মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ১৯৮০ মিটার সংযোগ সড়কটি নির্মানধীন থাকার কারনে, কেন্দ্রটি চালু হতে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। তবে, ২ কোটি ৭১ লাখ ৯৭ হাজার ৭ শত ৮৭ টাকা ব্যয়ে ১৯৮০ মিটার সংযোগ সড়কটির নির্মান কাজও শেষ হয়েছে প্রায় তিন মাসেরও অধিক সময়। তবুও অদৃশ্য শক্তির টানাপোড়েনে বন্ধ হয়ে আছে মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি। এদিকে উদ্বোধন না হওয়ায় লাভবান হচ্ছে মুস্টিমেয় কিছু পাইকার সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তারা মাছের দাম কমিয়ে দেয়। তাই জেলেদের বাধ্য হয়ে সেই কম দামেই মাছ বিক্রয় করতে হয় বলে অভিযোগ করেন অনেকেই।
বিগত ২০১২ ইং সালে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। তবে জমি অধিগ্রহণ করতেই সময় লাগে প্রায় ৪ বছর। এরপর ২০১৬ ইং সালে এর স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু করে সংস্থাটি। অবশেষে গতবছরের সেপ্টেম্বরে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়। এ সময়ে তিনটি উপকূলীয় জেলায় ৫৯ কোটি টাকা ব্যায়ে চারটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের নির্মান কাজ শেষ করেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন ( বিএফডিসি) ।
সরেজমিনে দৃশ্যমান, মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ১০ হাজার স্কয়ার ফিটের আইসপ্লান্ট, মাছ ট্রলার থেকে নামানোর জন্য নির্মান করা হয়েছে উন্নত মানের পল্টুন ও গ্যাংওয়ে, ১ হাজার স্কোয়ার ফিটের ওয়ার্কশন সেট, মাছ প্যাকেজিং করার জন্য আলাদা প্যাকেজিং সেট, আড়ৎদারের জন্য অফিস রুম, আধুনিক সেনিটেশন ও পয়ঃনিস্কাশনের ব্যবস্থা। এছাড়াও মাছ পরিবহনের জন্য তৈরি করা হয়েছে সাত হাজার স্কোয়ার ফিটের ট্রাক স্টান্ড।মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি অবিলম্বে চালু করার দাবি জানিয়েছেন মৎস্য ব্যবসায়ী ও মৎস্য খাত সংশ্লিষ্টরা।
এবিষয়ে মহিপুর মৎস অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মোঃ শকিল আহম্মেদ বলেন, মৎস ব্যসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত জায়গা ও প্লাটুন হয়নি বলে অভিযোগ করেন মহিপুর মৎস ব্যবসায়ীরা । তিনি আরো বলেন, মহিপুর মৎস অবতরণ কেন্দ্রটি মাত্র ৪০ জন ব্যাসয়ী ব্যবসা করতে পারবেন কিন্তু মহিপুরে প্রায় ১ শতাধিক মৎস ব্যসায়ী রয়েছে। তাই এই ব্যপারে গত ২৮ শে জুন মৎস ব্যবসায়ীদের সাথে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক হয়েছে। সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকতারা তাদের অভিযোগ আমলে নিয়ে এই সমস্যা দ্রুত সমাধান করে মৎস অবতরণ কেন্দ্রটি চালু করবেন বলে তিনি জানান।