আরিফ সুমন /অনলাইন ডেস্ক।।
একাধিক অভিযোগ করা সত্যেও কোন ভাবেই লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না আন্তঃ বিভাগীয় বাস ও পরিবহন শ্রমিকদের। আন্তঃবিভাগীয় বাস শ্রমিকদের বেপরোয়া আচরণের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আবারও হামলার স্বীকার হলেন নারীসহ কুয়াকাটা আগত ৮ পর্যটক। ১৬ ই জুলাই (শনিবার) রিশাল টু কুয়াকাটার যাত্রীবাহী বাস “ছন্দা পরিবহন (পটুঃ-ব-৩১-০০৪৫)” এর শ্রমিকদের হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছে কুয়াকাটায় আগত একই পরিবারের নারী সহ ৮ সদস্য। মারধরের পাশাপাশি ভিডিও করার অপরাধে মোবাইল আছড়ে ভেঙ্গে ফেলা ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেছেন হামলার স্বীকার পর্যটকরা। জানাযায়, বরিশাল টু কুয়াকাটার যাত্রীবাহী বাস “ছন্দা পরিবহন (পটুঃ-ব-৩১-০০৪৫)” এর শ্রমিকরা কুয়কাটায় আগত পর্যটক একই পরিবারের আট সদস্যের এই হামলা চালায়। এই হামলায় রেহাই পায়নি নারী পর্যটকও । এই হামলার স্বীকার পর্যটক পরিবারের সদস্য মোঃ রুবেল জানান, পারিবারিকভাবে শিশু সন্তানসহ ৮ জন সকাল ১১ টার দিকে বরিশাল থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে বাসে উঠেন। পথিমধ্যে রুবেলের সঙ্গে থাকা তার শিশু সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়লে তার নির্ধারিত সিটে ওই শিশুকে শুইয়ে রেখে নিজে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় বাসের সুপারভাইজার এসে দাঁড়িয়ে থাকলে একজনের বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে বলে উচ্চবাক্য বিনিময় করেন। বাসে থাকা অন্য এক যাত্রী উক্ত ঘটনা ভিডিও করার অপরাধে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এরপর বাসটি কুয়াকাটায় এসে থামতেই সংশ্লিষ্ট বাস শ্রমিকরা সংঘবদ্ধভাবে এই পর্যটক পরিবারটির ওপর হামলা চালায় । এই হামলায় মোঃ রুবেল, মোঃ রিপন মাহমুদ ও মোসাম্মৎ হনুফা বেগম নামের পর্যটক আহত হয়েছে। আগত পর্যটকরা সকলেই নরসিংদী বাবুর হাট এলাকর বাসিন্দা বলে জানাযায়। কিন্তু উক্ত হামলার বিষয় বাস চালক মোঃ কামাল হোসেন সম্পূর্ন অস্বীকার করেন। মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও,সি) মোঃ আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পর্যটক পরিবারটি লিখিত অভিযোগ দিতে অস্বীকার করায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি, তবে আলোচনা করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।