নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ সংরক্ষণে গত ৪ ই অক্টোবর থেকে আগামী ২৫ শে অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ মাছ ধরা, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
গত ৪-ই অক্টবার (সোমবার) প্রথম প্রহর থেকে ২৫ শে অক্টোবর পর্যন্ত মাছ ধরা বন্ধ থাকায় অনেক জেলে বাড়ি ফিরেছেন। শত শত ট্রলার আলীপুর মহিপুর আড়ৎ ঘাটসহ বিভিন্ন পয়েন্টে নোঙর করে রেখে দিয়েছে। এ ছাড়াও সাগরের ইঞ্জিন চালিতো নৌকায় খুটা জেলেরাও মাছ ধরা বন্ধ করে কুয়াকাটার। মৎস্য অফিস সূত্র জানা যায়, অবরোধের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইলিশ আহরণ, বিপণন, পরিবহণ, ক্রয়-বক্রয়, বিনিময় এবং মজুদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এই বিধিনিষেধ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে ১৯৫০ সালের মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, সর্বনিম্ন এক বছর এবং সর্বোচ্চ দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রয়েছে। ট্রলার মালিক ও জেলেরা বলেন, সরকারের আইন মেনে তারা মাছ শিকার বন্ধ করে ঠিক সময়মত তীরে এসেছেন। তবে গত বছরের চেয়ে এবছর সাগর বক্ষে ইলিশ খুবই কম পড়েছে। এর ফলে অনেকেই ধার দেনায় জর্জরিত হয়েছে পড়েছে। ট্রলার মালিক মো. মনির হাওলাদার বলেন, সরকারের আইন মেনেই মাছ ধরা বন্ধ রেখে তার ট্রলার ঘাটে বেঁধে রেখেছেন। ট্রলারের শ্রমিকসহ জেলেদের ছুটি দেয়া হয়েছে। তারা সবাই নিজ নিজ বাড়ি চলে গেছে বলে তিনি জানিয়েছেন। কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি মো.আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় প্রজনন মৌসুমে ২২দিন অবরোধ পালনের লক্ষে সব ট্রলারই ঘাটে এসেছে। বর্তমানে মহিপুর-আলীপুরের শিববাড়িয়া নদীর আড়ৎ ঘাটে হাজার হাজার ট্রলার অবস্থান করছে। উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, বর্তমানে নদীতে অভিযান চলছে। অবরোধ সফল করতে সাগর ও নদীতে মৎস্য বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এই অবরোধ চলাকলীন সময় সরকার কর্তৃক, কলাপাড়া উপজেলা ১৮ হাজার ৩ শত ৫ জন জেলেকে প্রনদনা হিসাবে ২০ কেজি করে চাল বিতরন করা হবে।