আরিফ সুমন / অনলাইন ডেস্ক।।
কুয়াকাটা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের মেলাপাড়া ‘খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ) মহিলা মাদ্রাসা’ সামনে হোটেল রেডিয়েশন (আবাসিক) নামে একটি প্রতিষ্ঠানে জনসম্মুখে চলছে রমরমা দেহব্যবসা।
গত ২৯ শে ই সেপ্টেম্বর (বুধবার) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় হোটেল রেডিয়েশন (আবাসিক) – এ একাধিক নারী পর্যটক নামে (পতিতা) সেখানে অবস্থান করছে। কিন্তু হোটেল উপস্থিত থাকা মোঃ নুরু হোসেন খান সেই নারীদের মধ্যে একজনকে তার স্ত্রী দাবি করেন। জানা যায়, ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের মেহেরপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ শানু মাঝি (৪৫) ও নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বসিন্দা মোঃ নুরু হোসেন খান (৪২) এই হোটেলর পরিচালনার (ভাড়া সূত্রে) দ্বায়িত্বে আছেন।হোটেলে উপস্থিত মোঃ নুরু হোসেন খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন স্থানীয় ক্ষমতাশালী ব্যক্তি এবং কিছু গনমাধ্যম কর্মীদের জড়িত থাকার কথা বলে তার অপরাধ লুকাতে চেষ্টা করেন। কিন্তু তার অপরাধ লুকাতে না পেরে পতিতাদের নারী পর্যটক বলে দাবি করেন। কিন্তু স্থানীয় সাধারন মনুেষের দাবি, এই নারী পর্যটকের অনেকেই চিহ্নিত দেহ ব্যবসায়ী। ইতি পূর্বে এদের মধ্যে অনেক জনই অনৈতিক কাজে জড়িত অবস্থায় প্রশাসনের হতে গ্রেফতার হয়েছে। উক্ত মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ মাওঃ মুফতি মোস্তফা কালাম কাশেমি বলেন, একিটি হাফিজি মাদ্রাসার সামনে এভাবে অনৈতিক কর্মকান্ড বর্তমান সমাজিক ও মানষিক নিরপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তেমনি ধর্মরক্ষায় আইনকেও বিকৃতি করা হয়েছে। তিনি সামাজিক ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসনের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে এহেন অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন। স্থানীয়দের মধ্যে মোঃ ইউসুফ গাজী বলেন, কুয়াকাটার মেলাপাড়া একটি আবসিক এলাকা। এখানে হোটেলে দেহব্যবসা করা আমাদের জন্য সত্যি একটি দুঃখজনক ঘটনা। তাও যদি হয় কোন হাফিজি মাদ্রাসার সামনে। বর্তমানে মানুষের মানবতা ও বিবেগ আজ ধংসের দ্বারপ্রান্তে। আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য এমন পরিবেশে বেড়ে ওঠা সবথেকে বড় সমস্যা। কুয়াকাটা পৌরসভার ০৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার মোঃফজলুর রহমান খাঁন বলেন, একাধিকবার এই অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে তিনি ৩/৪ বার গিয়েও, হাতেনাতে কিছু পায়নি। কিন্ত তিনি আরো বলেন, অভিযোগ ভিত্তিতে পরবর্তিতে তার এই প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে। এ বিষয় হোটেল মালিক মোঃ জাহাঙ্গীর হাওলাদার এর ব্যবহৃত মুঠোফোন (০১৭৪৯৫৫২৩৪৯) নম্বরে বার বার যোগাযোগ করার জন্য চেষ্টা করলে তিনি ফোন তুলেননি । এদিকে হোটেলের ভাড়া সূত্রে অপর মালিক মোঃ শানু খান বলেন, দীর্ঘদিন হোটেলে তার যাতায়াত নেই। এমন অভিযোগ সম্পর্কে তিনি জানেন না। তবে এমন অনৈতিক কাজ হলে তিনি নিজেই ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও,সি) খন্দকার মোঃ আবুল খায়ের বলেন, এমন অপরাধ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।