বরিশাল প্রতিনিধি।।
বরিশালের গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ হলেও শেষ হচ্ছেনা পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের সন্ত্রাসী তান্ডব। প্যানেল মেয়র ইখতিয়ারের বসতবাড়িতে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটলেও এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। ফলে বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর একের এক হামলার ঘটনা ঘটছে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার বার্থী ইউনিয়নের দুই এলাকায় পৃথক এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের তিনজন আহত হয়।
বাঙ্গিলা গ্রামের শহিদ সরদারের ছেলে শফিক সরদার অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে আমি এবং আমার পরিবার কাপ-পিরিচ মার্কার সমর্থক ছিলাম। এতে ক্ষিপ্ত ছিলো মোটরসাইকেল মার্কার সমর্থকরা। মঙ্গলবার সকালে পানবরজে কাজে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হই। পথিমধ্যে রামসিদ্ধি বাজার পার হয়ে ইয়াজুল হাওলাদারের বাড়ির সামনে পৌঁছলে মোটরসাইকেল মার্কার সমর্থক কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য ধুরিয়াইল গ্রামের শাওন হাওলাদার, নবিন হাওলাদার, তালহা খান, শাহাব হাওলাদার, জাহিদ ফকির, মনির গাজী সহ ৫/৬ সন্ত্রাসী আমাকে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে পকেটে গাঁজা ঢুকিয়ে বেঁধে রাখে। খবরপেয়ে থানা পুলিশের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে।
একইদিন দুপুরে উপজেলার রাজাপুর বাজারে পরাজিত প্রার্থী হারিছুর রহমানের সমর্থক ইউপি সদস্য শিমুল সরদার, মোশারেফ ফকির ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য আল আমিনের নেতৃত্বে বিজয়ী প্রার্থী মনির হোসেনের সমর্থক রাজাপুর এলাকার সজল সরদার, তানবীর সরদার, টিটু সরদার ও আসাদুল বেপারীর ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়াও সোমবার রাতে রামসিদ্ধি এলাকায় বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থক জুয়েল হোসেনকে পিটিয়ে করা হয়েছে। এসময় পাল্টা হামলায় পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক আজিজুল হাওলাদার আহত হয়েছে। অপরদিকে উপজেলার চাঁদশী এলাকায় হামলা চালাতে গিয়ে পাল্টা হামলার শিকার হয়েছে পরাজিত প্রার্থীর দুই সমর্থক। এবিষয়ে বিজয়ী উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়া বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারিছুর রহমান নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর একের পর এক হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। যে কারনে শান্ত গৌরনদী ক্রমেই অশান্ত হয়ে উঠছে। হারিছকে গ্রেপ্তার করা না হলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারন করতে পারে। এবিষয়ে জানতে হারিছুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তার নাম্বার পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি। গৌরনদী মডেল থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।