কিশোরগন্জ প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও হজরত আয়েশা (রা.) কে নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা ও দিল্লি শাখার গণমাধ্যম প্রধান নবীন কুমার জিন্দালের অবমাননাকর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে পাকুন্দিয়া উপজেলা ইমাম-ওলামা পরিষদ। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) সকাল সাড়ে এগারোটায় ইমাম-ওলামা পরিষদ পাকুন্দিয়ার ব্যানারে বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজারো মানুষ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন। মিছিল টি উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে পৌর সদর বাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাজার জামে মসজিদের সামনে এসে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন এবং মুনাজাতের মাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষ হয়।পাকুন্দিয়া উপজেলা ইমাম-ওলামা পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব হজরত মাও মোঃ রশিদ আহাম্মদ জাহাঙ্গীর হুসাইনীয়ার সভাপতিত্বে, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পাকুন্দিয়া উপজেলা ইমাম-উলামা পরিষদের সহ সভাপতি মাও ইদ্রীস আলী, সাধারণ সম্পাদক মাও মুফতি জুবায়ের আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ ভারতে মহানবী (সা.) ও হজরত আয়েশা (রা.) কে নিয়ে অবমাননার প্রতিবাদে অবিলম্বে জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনার জোর দাবি জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, মহানবী (সা.) ও হজরত আয়েশা (রা.)কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করে বিজেপির দুই নেতা বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত করছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে ভারতের ইসলাম বিদ্বেষী কুলাঙ্গারদের অবিলম্বে গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এ ঘটনায় আরব বিশ্বসহ সারা পৃথিবীতে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক উঠেছে। রাসূল (সা.)এর অবমাননা সর্বকালে অগ্রহণযোগ্য ও সবদিক থেকে ধিক্কারযোগ্য। এতে মুসলিমদের হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়। নূপুর শর্মা ও নবীন কুমার জিন্দালকে শুধু সাময়িক বহিস্কার নয়, তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে যেন ভারতে এমন মন্তব্য করার দুঃসাহস কেউ না দেখাতে পারে সেজন্য জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনেই এর নিন্দা প্রস্তাব আনতে হবে। অন্যথায় মুসলমানদের ক্রোধ ও ক্ষোভ কোনভাবেই প্রশমিত হবে না।