ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
কালের বিবর্তনে ঝালকাঠি হারিয়ে গেছে খেজুর গাছ।
ঝালকাঠি জেলার নলছিটি, রাজাপুর, কাঠালিয়া উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় সব বসতভিটাতেই দুই-চার/দশ – বিশ’টি করে খেজুরগাছ দেখা যেত। কালের বিবর্তনে এসব অঞ্চল থেকে খেজুরগাছ হারিয়ে গেছে। আগের মতাে সকাল-বিকাল খেজুর রসে শীত পিঠার উৎসব তেমন আর হয় না। গাছিরাও আগের মতাে সংগ্রহ করেন না খেজুর রস।
এলাকার প্রবীণরা জানান, ৩০/৩৫ বছর পূর্বে এসব অঞ্চলে অসংখ্য খেজুরগাছ ছিল। গাছিরা যখন সকালে খেজুর রস সংগ্রহ করে সিদ্ধ করতে নিয়ে আসত তখন এলাকার লােকজন রসের জন্য কলসি নিয়ে ভিড় জমাত। ইটভাটা এবং ইটপাজা’য় ব্যবহার করার কারণে খেজুরগাছ নিধন হয়ে গেছে। এছাড়া বাণিজ্যিকভাবে এলাকায় খেজুরগাছ রােপণ করা হয় না।
এলাকায় কিছু গ্রামাঞ্চলে রাস্তার আশপাশে খেজুরগাছ দেখা গেলেও রস আহরণে গাছি নেই। আগের মতো রস আর কেউ সংগ্রহ করে না। যে কারণে খেজুর রস এলাকায় পাওয়া যায় না। একটি পূর্ণবয়স্ক খেজুরগাছ দৈনিক তিন-পাঁচ কেজি পরিমাণ রস দেয়। এ রসে আমিষ, শ্বেতসার, চর্বি, খনিজ লবণসহ অনেক পুষ্টিকর উপাদান আছে। যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
কৃষি তথ্য মতে খেজুরগাছ বহুবর্ষজীবী গাছ হওয়ার কারণে মানুষের আগ্রহ কমে গেছে। এলাকায় খেজুরগাছ লাগানাের জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা উচিত বলে মনে করেন এলাকার সচেতন জনগণ।