মহিপুর থানা প্রতিনিধিঃ
মহিপুরে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী কতৃক জোরপূর্বক পূর্বের স্বামীর ঘড় জোর জবরদখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জোর যার মুল্লুক তার এমন প্রবাদের বিষদ বর্ণনা দেয় অভিযোগকারী।গত ১২ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪টার দিকে অভিযোগকারী মোঃ ফেরদৌস মুন্সী জানান, গত ২৫-০৭-২০২০ মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে স্ত্রী মোসাঃ মরিয়াম বেগম, পিতাঃ মস্তফা হাওলাদার, গ্রামঃ মনসাতলী কুচক্রী মহলের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক তালাক ফরমে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহিপুর সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও ইউপি সদস্য হাজী নুরুল ইসলাম হাওলাদার, ডালবুগঞ্জ (ইউপি) মহিলা সদস্য নাজমা বেগম, স্কুল শিক্ষিকা ফৌজিয়া বেগম প্রমুখ। তালাক নেওয়ার দুদিন পরে ওই কালো শক্তির প্রভাব খাটিয়ে আমার বসতঘর জোরপূর্বক দখল করে নেয়।
পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে শালিস দিলে মহিপুরস্থ বাজার সংলগ্ন আমার বসতভিটার কাগজপত্র উপস্থাপন করি, যাহা শিববাড়ীয়া মৌজার ১নং খাস খতিয়ান হইতে ৩১১৯ নং দাগ, যেখানে বসতঘড় আছে। কিন্তু মৌখিকভাবে আমার শশুর মস্তফা মিয়ার জমি বলে দাবী করেন।
স্থানীয় শালিসগণ তাদের কাগজপত্র দেখতে চাইলে কোনো কিছুই দেখাতে না পেরে ১৫দিনের সময় নেয়।
শালিসগণ সময় দিয়ে উভয় পক্ষের দুইজন করে চারজন লোক মনোনীত করে ঘড় তালাবন্ধ করে দেয়।
১৫ দিন পরে মস্তফা মিয়ার কাগজ দেখাতে পারলে ঘড়-ভিটি তারা পাবে।
কিন্তু ১৫ দিন পরে কাগজ না দেখিয়ে ঘড়ের তালা ভেঙ্গে জোরজবর দখল করে নেয়। ঘড়ের আশেপাশে ভিড়তে দিচ্ছেনা অভিযোগকারীকে। ফলে মানবেতর জীবনযাপন চলছে তার। এ ব্যাপারে ওই বসতভিটায় সরেজমিনে তদন্তে গেলে অভিযুক্ত মরিয়ামের মা মালেকা বেগমকে পাওয়া যায়, তিনি জানিয়েছেন, মহিপুর থানা পুলিশের সহায়তায় ঘড়ের তালা ভেঙ্গে দখল নিয়েছে।
এঘটনায় মহিপুর থানার এসআই মাইন উদ্দিন জানিয়েছেন, তিনি ছুটিতে বাড়ি ছিলেন ঘড় তালা ভেঙ্গে দখলের বিষয়ে কিছুই জানেনা। কুচক্রী মহলের কালো থাবায় নিজের স্ত্রী ও দুই সন্তান এবং বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব ও মানবেতর জীবনযাপন করার ফলে সুষ্ঠু বিচারের আশায় প্রশাসনের উদ্বোতন কর্মকর্তাদের এবং মানবাধিকার সংগঠনের সরেজমিনে তদন্ত ও জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছে।