সোহরাব বরগুনা জেলা প্রতিনিধি:
বঙ্গোপসাগর থেকে উঠে আসা জোয়ারের লবণাক্ত পানি বরগুনা জেলার নদী সহ বিভিন্ন খালে প্রবেশ করায় উক্ত পানি ব্যবহার করে বর্তমানে বহুলোক ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবরও শোনাগেছে। তাই নদী কিংবা খালের পানি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।হঠাত করেই শুরু হয়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। গত ২৪ ঘন্টায় ২৮২ জন রোগী বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিছানাপত্র না থাকায় মেঝেতে ঠাঁই নিয়েছেন অনেকে। চিকিৎসক সংকটে রোগীদের সামলাতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ বিভাগ।<br>হাসপাতালের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘন্টায় ২৮২ জন রোগী আক্রান্ত হয়ে জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে অনেকেই নারী ও শিশু। জানা যায়, জানুয়ারির শুরু থেকে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়তে থাকে। প্রথম সপ্তাহে গড়ে ২৫-৩০জনের মত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়। গত তিনদিনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গড়ে শতাধিক জনে পৌছায় এবং সবশেষ ২৪ ঘন্টায় তা আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে আজ ২৮২ জন রুগী ভর্তি রয়েছেন। এ পর্যন্ত ৫৪৫২ জন রোগী ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিয়েছেন।<br>হাসপাতালের ডায়রিয়া বিভাগে মাত্র আটটি বেড রয়েছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক বেড না থাকায় রোগীরা হাসপাতালে মেঝেতে বিছানা পেতেছেন।<br>সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে জানুয়ারী থেকে ২২এপ্রিল পর্যন্ত জেলায় ৫৪৫২ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা ২ হলেও আজ পর্যন্ত বে-সরকারী হিসাবে মৃত ৫ জন এরমধ্যে বেতাগীতেই মারা গেছে ৩ জন।<br>চিকিৎসাধীন অনেক রোগীরা জানান, বেড না থাকায় ফ্লোরে নোংরা পরিবেশে তাদের অবস্থান নিতে হয়েছে, তারা তিনদিন ধরে<br>ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কিন্ত সকালে চিকিৎসক চিকিৎসা দিতে আসেন। শুধুমাত্র সেবিকারা এসে রাতে স্যালাইন দিয়েছেন।<br>বরগুনার স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান জানান, গরমের মৌসুম শুরু হওয়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। উপকূলের প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা অতটা স্বাস্থ্য সচেতন নয়, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকার কারণে রোগ জীবানুর আক্রমনের শিকার হয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ম্যানপাওয়ার কম থাকায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সেবা নিশ্চিতের লক্ষে আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করছি।