ফিরোজ জোয়ার্দ্দার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি।।
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার শ্রীরামপুর জোড়া ব্রীজের পাঁকা রাস্তার পাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে উল্টে যাওয়া খালি আলমসাধু চন্দনপুর ইউনিয়নের বিট অফিসার থানার এসআই ইসরাফিল হোসেনের নেতৃত্বে স্থানীয় যুবকদের সহযোগী সেটি উদ্ধার করে প্রশাংসা ভাচ্ছেন তিনি।
শনিবার (২২ই আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলায় শ্রীরামপুর জোড়া ব্রীজের পাঁকা রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যাওয়া আলমসাধুটি রসি দিয়ে টেনে উদ্ধার করে দিলে ইউনিয়নবাসী প্রশাংসা করেন পুলিশকে।
মানবতার ফেরিওয়ালা এসআই ইসরাফিল হোসেনকে আখ্যায়িত করে ‘পুলিশই জনতা, জনতায় পুলিশ- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে পুলিশ বিপদে জণগনের বন্ধু আর অপরাধীর শত্রু হয়ে সমাজে অপরাধ মুলক কর্মকান্ড দমন করে যাবেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, চন্দনপুর ইউনিয়নের বিট অফিসার এসআই ইসরাফিল হোসেন, এসআই রফিকুল ইসলাম ও এএসআই কামাল হোসেন কলারোয়া থানা থেকে ডিউটিতে বের হয়ে চন্দনপুর বিটে যাওয়ার পথিমধ্যে দেখতে পায় শ্রীরামপুর জোড়া ব্রীজের পাঁকা রাস্তার পাশে খাদে একটি বড় আলমসাধু উল্টে পড়ে আছে।
তৎক্ষনিক নিজের মানবতাকে কাজে লাগিয়ে অন্য পুলিশ সদস্যদের সাথে নিয়ে স্থানীয় যুবকদের সহযোগীতায় রশি দিয়ে টেনে আলমসাধুটি খাদ থেকে উদ্ধার করে দেন।
উদ্ধার হওয়া আলমসাধুর চালক থানা পুলিশের এসআই ইসরাফিল হোসেনসহ অন্য পুলিশ সদস্যদের কাছে কৃতজ্ঞ প্রকাশ করেন।
পরে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে চন্দনপুর ইউনিয়নের মদনপুর ওভয়েরডাঙ্গা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল সেটি ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যসহ মুক্তিযোদ্ধা এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে নিরাসন করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
দুই গ্রামের মধ্যে চলে আসা দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মীমাংসা করে দেওয়াতে বিট অফিসার এসআই ইসরাফিল হোসেন, এসআই রফিকুল ইসলাম ও এএসআই কামাল হোসেনকে ইউনিয়নবাসী ধন্যবাদ জানিয়ে প্রশাংসা করেন।
দুই গ্রামের মধ্যে পানি নিষ্কাশন নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে যে সমস্যা ছিলো সেটি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিতিতে সমন্বয় করা বিট অফিসার ইসরাফিল হোসেন, সহকারী বিট অফিসার এসআই রফিকুল হাসান ও এএসআই কামাল হোসেন একত্রে দুই গ্রামের মধ্যে শান্তি বিরাজ করে নিরাসন করেন।