বেগমগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় আলোচিত হাসান হত্যা মামলার প্রধান আসামী মাজহারুল ইসলাম তুর্জয়কে (২১) খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। পূর্বের হত্যাকান্ডের জের ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়ে। নিহত তুর্জয় চৌমুহনী পৌরসভার উত্তর নাজিরপুর গ্রামের মো. মানিকের ছেলে।
বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ ও স্থানীরা জানান, বিকাল ৫টার দিকে তিন বন্ধুসহ মাজহারুল ইসলাম তুর্জয় চৌমুহনী পৌরসভার কন্ট্রেক্টর মসজিদ এলাকায় হাঁটছিল। এসময় মোটরসাইকেল যোগে ৩-৪জন অজ্ঞাত অস্ত্রধারী যুবক তাদের ধাওয়া করে। অস্ত্রধারীদের ধাওয়ায় অপর তিনজন পাশবর্তী একটি বাড়ীতে গিয়ে আশ্রয় নিলেও ধাওয়াকারীদের হাতে আটকা পড়ে মাজহারুল ইসলাম তুর্জয়। অস্ত্রধারীরা মাজহারুলকে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তুর্জয়কে উদ্ধার করে প্রথমে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তুর্জয় বেগমগঞ্জের কিশোর গ্যাং এর সক্রিয় সদস্য ছিলো।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস জানান, রত্তাক্ত অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে মাজহারুলকে হাসপাতালে নিয়ে আসে স্থানীয় লোকজন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও অক্সিজেন সার্পোট দিয়া দ্রুত নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার পেট, পিঠ, কোমর, হাত-পা’সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ক্ষত রয়েছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, ওই যুবককে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার শরীরের একাধিক ছুরির আঘাত রয়েছে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান সিকদার জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার বিস্তারিত খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিহত মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রয়েছে। ওই মামলায় সে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিল বলেও জানান ওসি।