বরগুনা প্রতিনিধিঃ
বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা-পাতাকাটা ইউনিয়নের ইনসান শরিফের ছেলে মজনু শরিফের বিভিন্ন নির্যাতনে শিকার অটো ড্রাইভার সোহাগ দেওয়ান। চাঁদার টাকা না দেয়ায় মারধর পুলিশ এসে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখাযায়, ইটবাড়িয়া গ্রামের আটোগাড়ি চালক সোহাগ দেওয়ান আহত হয়ে কদমতলা বাজারে পরে রয়েছে। পরে সদর থানার এসআই. সাইফুল ইসলাম এলাকাবাসীর দিয়ে জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
স্থানীয়রা জানান, কদমতলা বাজারের মজনু শরীফের সুদের টাকার জোরে আমাদের জনসাধারণের মধ্যে অনেকেই তার হামলার শিকার হয়েছে। বিপদে পড়ে তার কাছ থেকে টাকা নিলে পরে টাকা দিতে দেরি হলে বসতভিটা দখলের চেষ্টা করে।
প্রায় ১৫ দিন আগে অটো ড্রাইভার সোহাগ দেওয়ান গাড়ি প্লেজ করার সময় মজনু শরীফের মোটরসাইকেলে পিছন থেকে লাগালে, দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়, একপর্যায়ে তাকে মেরে আহত করেন, ও সোহাগের গাড়ি ভাঙচুর করে গাড়ি আটকে রাখেন। ইজিবাইক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাফর মোল্লা এসে সালিশ ব্যবস্থার কথা বলে গাড়িটি ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।বুরিড়চর ইউনিয়ন পরিশোধ চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান এর অফিসে সালিশি ব্যবস্থার মাধ্যমে মিট করার কথা থাকলে। তার আগেই আজ আবারও মেরে আহত করে পালিয়ে যান মজনু শরীফ ও তার সহযোগী বজলু শরীফ।
ইজিবাইক মালিক সমিতির সেক্রেটারি জাফর মোল্লা বলেন, কদমতলা লাইনে গাড়ির ঢুকলে তাকে চাঁদা দিতে হবে এমনই দাবি করে আমাদের কাছে। না দিলে নাকি গাড়ি ইটবাড়িয়া- কদমতলা রাস্তায় চলতে দিবে না! গাড়ি নিয়ে ঢুকলেই আমাদের উপর বিভিন্ন ভাবে হামলা করে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
ইজিবাইক মালিক সমিতির সভাপতি ফরিদ বিশ্বাস বলেন, আমরা গরিব বলে কি গাড়ি চালিয়েও পরিবার নিয়ে খেতে পারবো না!?মজনু শরীফ বিভিন্ন সময়ে অটো ড্রাইভার এর কাছে চাঁদা চেয়ে থাকে হঠাৎ একদিন সোহাগের গাড়ি পার্কিং করার সময় পিছন থেকে কদমতলা বাজারের মজনু শরিফ এর মোটরসাইকেলে লাগলে তখন কথা-কাটাকাটি হয়! পরে তাকে মেরে আহত করে। গণ্যমান্যরা বুড়িরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে সালিশি মেনে তার অফিসে বসার আগেই আবারো কেন মেরে আহত করেছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
অভিযুক্ত মজনু শরিফ মুঠোফোনে বলেন, সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি ৮০০০ টাকা পাব সেই টাকা চাইতে গেলে এই ঘটনা ঘটে।
বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, খবর শুনে ঘটনাস্থলে আমাদের পুলিশ গিয়ে ভুক্তভোগী সোহাগ দেওয়ানকে জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। এবং এখনো তদন্ত অব্যাহত আছে।