মোঃ হাবিবুল্লাহ খান রাব্বী।।
কলাপাড়া আন্ধার মানিক নদীর মোহনায় জলদস্যু জোংলা শাহালম বাহিনী কর্তৃক
ট্রলার ডাকাতি ও এক জেলে অপহরণ করার ঘটনা ঘটেছে। অপহরণকৃত জেলে সোহেল
গাজী (২৫)। গতকাল ২২ ডিসেম্বর ২০২০ইং মঙ্গলবার বিকাল ৩ টার দিকে
অপহরণকৃত জেলে সোহেল গাজীর মা’ মোসাঃ পারভীন বেগম বলেন, গত ২২
নভেম্বর আনুমানিক রাত ১০টার দিকে কলাপাড়া আন্ধার মানিক নদীর মোহনায়
জলদস্যু জোংলা শাহালম বাহিনী নাম বিহীন একটি ট্রলার ডাকাতি করে ৫ লাখ
টাকার মালামাল নিয়ে যায়। ট্রলারে ৫ জন জেলে ছিলো। এর মধ্যে ইউনুছ মাঝি, তার
দুই পুত্র সোহেল গাজী ও সুমন গাজী এবং মেহেদি, পিতাঃ সুন্দর আলী, হাচান,
পিতাঃ ছিদ্দিক হাওলাদার। জেলেদের কলাপাড়া উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের দিঘর-
বালিয়াতলী গ্রামের বাড়ি।
জলদস্যুদের বেধরক মারধরের কারণে প্রানে বাচঁতে দস্যুদের শিখানো গরু চুরির
মিথ্যা অপবাদ ঘারে নিলে ৪ জনকে পুলিশে ছোপর্দ করবে নছেৎ সকলকে প্রানে
মেরে ফেলবে। তাই দস্যুদের কথায় রাজি হলে দস্যু জলিল বাদী হয়ে মহিপুর থানায়
গুরুচুরির মামলা করে থানা পুলিশে দেয় জেলেদের। মহিপুর থানার মামলা নাং-১২/২০।
এ ঘটনা ফাঁস করলে হত্যা করা হবে সোহেল গাজী (২৫) নামের (এক) জেলেকে।
তাই মুক্তিপনের আশায় সোহেল গাজী অপহরণ করে নিয়ে যায় গহীন জঙ্গলে। মাত্র ২০
হাজার টাকা মুক্তিপন দিলেই ছাড়া পাবে একথা জানায় অপহরণকৃত সোহেল
গাজী।ছেলেকে উদ্ধার করতে মহিপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জমানের
সাথে মৌখিক আলোচনা করলে থানার মুঠোফোনে আলাপ হয় দস্যুদের সাথে। ২০
হাজার টাকা মুক্তিপন দিতে রাজি হয়ে সু-কৌশলে ৩১ ঘন্টা পর ২৩ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১টায় উদ্ধার করা হয় অপহরণকৃত সোহেল গাজীকে। উদ্ধারকার্য পরিচালক মহিপুর থানার এস আই মনির ঘটনার সত্যতা শিকার করে
বলেন, দস্যুদের বাড়ি ৭নং লতাচাপলী ইউনিয়নের লেম্বুর চর বনের ভিতরে। জলদস্যুরা
বিশাল বনের ভিতর লুকিয়ে থাকায় কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করতে সক্ষম হয়নি।কলাপাড়া আন্ধার মানকি নদীর মোহনায় পরবর্তীতে ট্রলার ও মালামাল উদ্ধার করতে পেরেছেন কিনা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি ব্যাস্ত থাকায় বিস্তারিত জানাতে পারেননি।