মোঃ নজরুল ইসলাম বিশেষ প্রতিনিধি
যশোরের বেনাপোল সীমান্তবর্তী পুটখালী গ্রামে চলছে রমরমা মাদকের বানিজ্য। এ সীমান্তে ভারতীয় গরু আসা বন্ধ হওয়াতে এখন চলছে মাদক ব্যবসা। প্রতিদিন এ সীমান্ত দিয়ে আসছে হাজার হাজার বোতল ফেনসিডিল। অবাদে মাদক দ্রব্য আসলেও প্রশাসনে তেমন কোন ভুমিকা চোখে পড়ে না। যে কারনে পুটখালী থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার বোতল ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য দেশের অব্যান্তরে বিভিন্ন জেলা শহরে চলে যাচ্ছে। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রনে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা জিরো টলারেন্স ঘোষনা করলেও , অসাধু কিছু আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের সহযোগিতায় চলছে দেদারছে মাদকের কারবার। মাদকের গডফাদাররা রয়ে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। আর এ কারনেই প্রতিদিন বিপুল পরিমানের মাদক পাচার হয়ে আসলেও ধরা পড়ছে সীমিত।
সূত্রে জানাগেছে, শার্শা – বেনাপোলের সীমান্তবর্তী পুটখালী সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ছোট ছোট মাদকের চালান নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও মাদক বহনকারী প্রাশসনের হাতে আটক হলেও ধরা পড়ছেনা মাদকের মুল ডিলার ও ঘাট মালিকেরা। শার্শা ও বেনাপোল সীমান্ত পুটখালী এলাকার মাদক পাচারের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে অনেক শিশু, নারী ও বহনকারীদের আটক করলেও মুল হোতারা ধরা পড়েনা। মাদকের সাথে ধরা ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকারও কেউ ছাড়াতে আসে না।
সূত্রে আরও জানাগেছে, শার্শা – বেনাপোলের সীমান্তবর্তী পুটখালী, সীমান্ত দিয়ে আসা মাদক দ্রব্য বহনকারীরা শার্শার বাগআঁচড়া, জামতলা, টেংরা, সামটা, বাগাডাঙ্গা, কন্যাদাহ, রামপুর, গয়ড়া, বুরুজবাগান, সাতমাইল আমতলা, বালুন্ডা, মহিষাকুড়া, ইছাপুর এলাকায় গড়ে উঠা মাদক সিন্টিকেটের হাতে তুলে দেয়। তারপর ঐ মাদক দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌছে যায়। সীমান্ত থেকে মাদক সিন্টিকেট তাদের হাতে আসা মাদক বিভিন্ন গন্তোব্যে পৌছে দেওয়ার জন্য বহনকারীদের হাতে ধরিয়ে দেয়। লাইন ম্যানের মাধ্যমে বহনকারীরা তাদের দায়িত্ব পালন করে। বহনকারীরা প্রতি বোতল দূরত্ব বুঝে ১৫ থেকে ৫০ টাকা করে বহন খরচ পাই।
সূত্রে জান গেছে, বর্তমানে সীমান্ত এলাকা থেকে প্রতি বোতল ২১০/২৩০ টাকা করে কিনলেও তা বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫শ থেকে ৬শ টাকা করে। করোনার কারনে শার্শা ও বেনাপোল এলাকায় মাদকের ব্যবসা দ্বীগুন হারে বৃদ্ধি পেয়েছ্।ে সেই সাথে বেড়েছে সেবনকারীও। শার্শা ও বেনাপোল ভবের বেল এলাকার পৌরগেটসহ প্রায় অর্ধশত পয়েন্টে খুচরা মাদক বিক্রি হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ।
জানাগেছে, শার্শা ও বেনাপেলের পুটখালী গ্রামের আরিফুল ইসলাম, আরিফ হোসেন, জামাল উদ্দিন ও তরিকুল ইসলাম, কামাল হোসেন, আব্দুর রশিদসহঅর্ধশতাধিক মাদক ব্যবসায়ীরা সিন্টিকেটের মাধ্যমে দেদারছে তাদের মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা প্রত্যেতে পুলিশের তালিকা ভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী হলেও রয়েছ ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এ ব্যাপারে শার্শা ও বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি বদরুল আলম খান ও মামুন খান বলেন মাদকের ব্যাপারে কোন ছাড় নেই। মাদক ব্যাসায়ী যেই হোক তাকে ধরিয়ে দিলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা বলেন প্রতিদিন তাদের থানায় মাদকের বিরুদ্ধে কোন না কোন অভিযান আছে। তারা বলেন মাদককে জিরো টলারেন্স আনতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকবে। বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টি প্রয়োজন।