এম.জাফরান হারুন, নিজস্ব প্রতিনিধি, পটুয়াখালী:: আমি মনোনয়ন পাইনি তাতে দুঃখ নেই, কিন্তু আফসোস একটা খুনিকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এটা আমার আবেগ দুঃখ। যারা কোনও সময়ই আওয়ামী লীগ দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলনা, যে কিনা বিএনপি জামায়াত নিয়ে এখন আওয়ামী লীগ করে। মুলত মনোনয়ন আমার পাওয়ার কথা ছিল। নেত্রী আমাকেই মনোনয়ন দেওয়ার কথা কিন্তু আমার দৃষ্টিতে বলবো মনোনয়ন ছিনতাই, মনোনয়ন ছিনতাই হয়েছে বলে সাংবাদিক শেখ এম জাফরান হারুন এর এক সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেছেন ইব্রাহিম ফারুক।
তিনি বলেন, যিনি সক্রিয় একজন যুবলীগ নেতা আলোচিত তাপস হত্যা মামলার প্রধান আসামি, যার ইশারায় ও হাতের কাছে ঘটনাস্থলে যুবলীগ নেতা খুন এবং যিনি আমাকে হত্যা চেষ্টার হুকুমদাতা সে কিভাবে মনোনয়ন পায় এটা আমার বোধগম্য নয়। আল্লাহর ইচ্ছায় আমার নেতাকর্মীদের দোয়ায় বেচে গেছি। হারাতে হয়েছে চিরতরে আমার বাম চোখ। হয়েছিলাম রক্তাক্ত জখম। ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিল আমার হাত। আল্লাহ্ পাকের কৃপায় বেচে রয়েছি কিন্তু আমার বাচার কথা ছিল না।
তিনি আরও বলেন, আমি ঢাকার রাজপথে সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ সেলিমের সহধর এবং আজ থেকে ৩৫ বছর ধরে দলের দায়িত্ব পালন করছি। এবং ২০০৩ সালে জোট সরকারের আমলে দলের মনোনয়ন পেয়ে আমি বিপুল ভোটে নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই এবং সেই থেকে আজ তিন তিনবার দলের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত চেয়ারম্যান হয়ে দায়িত্ব পালন করছি।
তিনি আরও বলেন, আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এবং পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাই বাউফল পৌরসভার নেতাকর্মীসহ জনগণের প্রত্যাশায় পৌরসভার মেয়র পদে পদপ্রার্থী হয়ে মনোনয়ন কিনি। নেতাকর্মী সহ জনগণের আশা ছিল যে আমিই মনোনয়ন পাবো। যেহুতু নেত্রী তাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। এদিকে নেতাকর্মীরা সহ সাধারন জনগণ আমাকে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করতে বলে এতে আমি না বলেছি। কারণ আমি নেত্রী ও দলের সিদ্ধান্তে অটল।
এবিষয়ে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার বর্তমান মেয়র এবং দলের মনোনয়ন পাওয়া বাউফল পৌরসভার মেয়র পদপ্রার্থী জিয়াউল হক জুয়েলের মুঠোফোনে প্রতিবেদক একাধিকবার কল করলে ওয়েটিং পরে কল হলেও রিসিভ করে কথা না বলায় কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।#########
[০৭|০১|২০২২]