আরিফ সুমন ( ডেস্ক রিপোর্ট )।।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডে আঘাত করে দুর্বল হয়ে পড়েছে। তেমন বড় কোন ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করায়, শঙ্কা কাটিয়ে স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরেছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এখন নিম্নচাপ থেকে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এছাড়া পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আতঙ্কে জান-মালের ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ । সরকারি হিসাবে কলাপাড়া উপজেলায় মোট ১৭৬ টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১৮ হাজার ৩’শত ৬৬ জন মানুষ অবস্থান নিয়েছিলেন। তবে ঘূর্নিঝড়টি খুব বেশি প্রবল না হওয়ায় ভোর রাত হতেই আশ্রয় কেন্দ্র থেকে অনেকটা স্বস্তি নিয়ে ফিরে গেছেন অনেকে।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে আবহাওয়া পুনরায় স্বভাবিক হওয়ায় কুয়াকাটার উপকূলীয় মনুষের মধ্য স্বস্তি লক্ষ্য করা গেছে। কলাপাড়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে আজ সারা দিন আকাশ মেঘলা থাকবে। সাগরে বায়ুর তারতম্য আছে, তাই ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেয়া হয়েছে। তবে কাল থেকে সাইনিং আবহাওয়া বিরাজ করবে।
পটুয়াখালী ৪ আসনের সাংসদ মহিব্বুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবেলায় মানুষের জান মালের নিরাপত্তার লক্ষ্যে সকল পর্যায়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল এবং আমি নিজেও ঝড়ো বৃষ্টির মধ্যে শুকনা খাবার নিয়ে বিভিন্ন আশ্রয়ণ কেন্দ্রে গিয়েছি। আল্লাহর রহমতে আমার নির্বাচনি এলাকায় তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা সব সময়ই সচেষ্ট থাকবো।
কলাপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন কবির। তিনি জানান, সোমবার বিকাল থেকে গৃহপালিত পশুপাখি ও মালামাল নিয়ে সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়া মানুষেরা ভোরের দিকেই তাদের নিজ গৃহে ফিরে গেছেন।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও,সি) মোঃ খোন্দকার আবুল খায়ের জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে মহিপুর থানার গাছ ভেঙে পরার ছাড়া বড় কোন দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায় নি।