মহিপুর থানা শ্রমীকলীগ সভাপতি কালাম ফরাজীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও রাজনৈতিকভাবে কোনঠাসা করে রাখার অভিযোগ এনে কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। ২৮ মার্চ (বুধবার) দুপুরে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। তার বিরুদ্ধে আনিত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ রাজনৈতিক হয়রানীর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে কালাম ফরাজী বলেন, লতাচাপলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা গত ২৫ মার্চ তার আলিপুরস্থ বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করেছেন। গত ২৪ মার্চ রাতে তার বাস ভবনে হামলা হয়েছে এমন দাবি করে আমি ও আমার লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। আমি যতটুকু খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি যে, তার বাস ভবনে হামলার ঘটনাটি সম্পূর্ণ সাজানো নাটক। আমি ও আমার লোকজনকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এমন কল্প কাহিনী সাজানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয় একাধিক মাদক মামলার আসামী ও হত্যা মামলার প্রধান আসামী সামসু ও তার স্ত্রী জুলেখা বেগমকে দিয়ে ২৭ মার্চ আমার বিরুদ্ধে মহিপুর থানায় একটি জিআর মামলা দায়ের করা হয়েছে। যা সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। আনছার মোল্লা তার রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য জুলেখা বেগমকে দিয়ে কাল্পনিক মামলা করেছে। কালাম ফরাজী দাবী করেন, আনছার উদ্দিন মোল্লা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে এখন অপরাজনীতি শুরু করেছেন। আমাকে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বানিয়ে বিভিন্ন সময়ে আমি ও আমার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে গনমাধ্যম কর্মীদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে। রাজনৈতিক জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এসকল অপরাজনীতি বন্ধে জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, লতাচাপলী ইউনিয়ন সেচ্ছা সেবক লীগের সাবেক সভাপতি আঃ মন্নান ব্যাপারী, মহিপুর থানা সেচ্ছা সেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মহিবুল্লাহ পাটোয়ারী সহ গনমাধ্যম কর্মীরা।