1. admin@amaderkuakata.com : akas :
  2. amaderkuakata.r@gmail.com : desk-1 :
  3. amaderkuakata@gmail.com : rumi :
বিজ্ঞপ্তিঃ-
প্রতিটি জেলা উপজেলায় প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে।

মহিপুর মাদ্রাসা সুপারের প্রতারনার স্বীকার হয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা।।  

  • আপডেট সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৬৮৫ বার

ডেস্ক রিপোর্ট।। শিক্ষা ক্রমেই বর্তমানে বাণিজ্যিক পণ্য হয়ে উঠছে। একসময় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় শিশুদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গজিয়ে ওঠার যে প্রবণতা দেখা যেত, তা এখন রাজধানীর গণ্ডি পেরিয়ে মফস্বলেও ছড়িয়ে পড়েছে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গড়ে উঠছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকটিতে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হলেও বোর্ডের পরীক্ষা দিতে হয় অন্য প্রতিষ্ঠানের নামে। অথচ এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকার অনুমদিত সাইনবোর্ড লাগিয়ে রাখা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত টিউশন ফি।  অভিভাবকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও প্রতারিত হতে হচ্ছে। দৈনিক কলাপাড়া প্রতিদিনে উঠে এসেছে পটুয়াখালীর মহিপুরের এমনি এক মাদ্রাসা ও প্রধানের প্রতারণার কথা। মহিপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের প্রতারনায় আগামী দাখিল পরিক্ষায় অংশগ্রহণ না করতে পারায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক শিক্ষার্থী। গত বুধবার (১৫ নভেম্বর) ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মহিপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় গেলো বছর নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয় ভুক্তভোগী এই শিক্ষার্থী। নবম শ্রেণীতে রেজিস্ট্রেশনের জন্য সমস্ত ডকুমেন্টসসহ চলতি নিয়মে নির্ধারিত অর্থ প্রদান করেন। চলতি বছরে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য ৪ হাজার ৫০০ টাকাও জমা দেন তিনি। তবে পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার নামে কোন রেজিস্ট্রেশন হয়নি। এতে হতাশায় ভেঙে পড়েন ফারজানা ও তার পরিবার। রেজিস্ট্রেশনের জন্য বারবার যোগাযোগ করেন প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন নানান তালবাহানা করে কোন সুরাহা করতে না পেরে পরিবারের কাছে অর্থ ফেরত দিতে যায়। এরপর বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষার্থী ফারজানা চলতি মাসের ৬ তারিখ বিকেল চারটার দিকে নিজের ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এসময় তার মা ডাকাডাকির এক পর্যায়ে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরে ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাকে দেখতে পান। পরে পরিবারের সদস্যদের সহয়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, দুটি বছরের লেখাপড়া করে আমি যদি পরীক্ষাই দিতে না পারি তাহলে আমার বেঁচে থেকে লাভ কি? আমি এই সমাজে বাঁচতে চাই।

শিক্ষার্থীর মা খাদিজা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমরা খুব গরীব মানুষ। দুই বছর অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করিয়েছি। সামনে এস এস সি পরীক্ষার জন্য প্রধান শিক্ষককে সমস্ত টাকা পয়সা দিয়েছি। কিন্তু জানতে পারি মেয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে না। এ কথা শুনেই মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে এবং খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আমি সরকারের কাছে বিচার চাই।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট মাওলানা মো. ইসমাইলের কাছে জানতে চাইলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মেয়ের মায়ের নামের সাথে মিল আছে তবে শিক্ষার্থী এবং তার বাবার নাম ভিন্ন এমন একটি রেজিস্ট্রেশন পেয়েছি। ঐ নামে মেয়েকে পরীক্ষা দেওয়ানের চেষ্টা করছি। এটি আইনসম্মত কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং সংবাদকর্মীদের অর্থ দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোখলেছুর রহমান বলেন, এবিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং শিক্ষার্থীর ক্ষতিপূরণ দেওয়া ব্যবস্থা করা  হবে। জানা গেছে, ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় বিরুদ্ধে রয়েছে নানান অভিযোগ। মহিপুর এলাকায় দীর্ঘদিন অনুমতি ছাড়া পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেপ্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু পাঠাদনের অনুমতি আছে কিনা সে ব্যাপারে খোলাসা করতে রাজি নন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন কথা বলে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আছে। 

শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড- এ বিশ্বাস যদি আমাদের থাকে, তাহলে এখনই এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষার মান নিয়ে যেমন কোনো আপস করা চলবে না, তেমনি শিক্ষার নামে প্রতারণাও বন্ধ করতে হবে।


সোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

এ জাতীয় আরো খবর
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
Design & Developed BY Star it Academy