সূত্র জানায়, ১৯৯৭ সালের ১ লা মার্চ নাগরিক সেবা প্রদানে কলাপাড়া পৌরসভা যাত্রা করে। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পৌরসভার আয়তন ৩.৭৫ বর্গ কিলোমিটার। বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ২২ হাজার। ভোটার প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার। ২০০৯ সালে এটি তৃতীয় শ্রেনী থেকে দ্বিতীয় শ্রেনীতে এবং ২০১৫ সালে এ পৌরসভাটি প্রথম শ্রেনির মর্যাদা লাভ করে।
পৌর এলাকায় পাকা সড়ক রয়েছে ২৬ কি.মি. ও কাঁচা সড়ক ৬ কি.মি. এবং ইটের সড়ক রয়েছে ১৬ কি.মি। পৌরসভার সরু সড়কের ফুটপাথ দখল, রিকশা-অটো-ভাড়াটে মোটর সাইকেলের যত্র তত্র পার্কিং, প্রভাবশালীদের ইট-পাথর-বালু বহনকারী ঘাতক যান নাগরিক চলাচলে আরও দুর্ভোগ যুক্ত করেছে। এছাড়া সড়কের খানা খঁন্দকে বর্ষার পানি জমে যানবাহন চলাচলে নদীর ঢেউয়ের অনুভ‚তি দিচ্ছে নাগরিকদের। মাঝে মাঝে সড়কে যানবাহন উল্টে নাগরিকরা আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার মনের সুখ মিটিয়ে এ ডিজিটাল সড়ক কৃর্তপক্ষকে অশ্লীল গালাগাল ছুঁড়ে দিচ্ছেন।
অটো ড্রাইভার কালাম মিয়া জানান, ’বাজার থেকে ফেরী ঘাট চৌরাস্তা সড়কে যাত্রী পরিবহন কম করি। এ সড়কে চলাচল করলে গাড়ী রিপেয়ার করা লাগে। বছরের পর বছর ধরে চলছে এ সমস্যা। যাত্রীরা এই সড়করে এ্যহন পৌরসভার ডিজিটাল সড়ক কয়।’
পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বাজার-ফেরীঘাট চৌরাস্তা ১ কি.মি. সড়কের কার্পেটিং কাজ কুয়েত ফান্ডের নগর উন্নয়ন প্রকল্পের ৯২ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে উদ্দোগ নেয়া হয়েছে। অর্থ ছাড় পেলেই কাজ শুরু করা হবে। এছাড়া অফিস মহল্লা-হাসপাতাল ৭৫৮ মিটার আরসিসি সড়ক ১ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এবং রহমতপুর-বাসষ্ট্যান্ড চৌরাস্তা ১১২২ মিটার কার্পেটিং সড়ক কোভিড-১৯ প্রকল্পের ৭২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মানের উদ্দোগ নেয়া হয়েছে। শ্রীঘ্রই এসকল সড়কের কাজ শুরু করা হবে।
কলাপাড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. হুমায়ুন কবির জানান, পৌরসভার অধিকাংশ সড়ক মেরামত করা হয়েছে। এখন সিসির বদলে আরসিসি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১০-১২ কিলোমিটার আরসিসি সড়ক করা হয়েছে। এছাড়া সকল সড়কের দ্রæত নির্মান ও সংস্কারে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।