কুয়াকাটা প্রতিনিধি ॥
মহিপুরথানাধীন হত্যার ভয় দেখিয়ে চেকে স্বাক্ষর’ গত ২৮ আগস্ট বরিশালের কয়েকটি পত্রিকায় এমন একটি সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিেেক কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে আলীপুর নিবাসী আঃ রহিম ফরাজী এ সংবাাদ সম্মেলন করে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানান।
সংবাাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আঃ রহিম ফরাজী জানান, কুয়াাকাটার মাইটভাঙ্গা গ্রামের ইউসুফ গাজী’র সাথে তার পারিবারিকভাবে সুসম্পর্ক ছিলো। পারিবারিক সম্পর্কের কারণে ইউসুফ গাজী শুটকি মাছের ব্যবসার জন্য বিভিন্ন সময় ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আঃ রহিম ফরাজীর নিকট থেকে ১০ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন। একপর্যায়ে ইউসুফ গাজী ব্যবসা বন্ধ করে রহিম ফরাজীর পাওনা দশ লক্ষ টাকা না দিয়ে ঢাকায় চলে যায়। রহিম ফরাজী যোগাযোগ করলে কখনও নগদ টাকা পরিশোধ করবেন আবর কখনও জমির দলিল সম্পাদন করে দিবেন এমন প্রতিশ্রুতি দিতে থাকেন।
এভাবে প্রায় ১০ বছর অতিবাহিত হয়। একপর্যায়ে গত ২০ আগষ্ট তার সাথে দেখা হলে পাওনা ১০ লক্ষ টাকা ফেরৎ দেয়ার জন্য সময় চেয়ে তিনশত টাকার ননজুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্প ক্রয় করেন। এর পাঁচদিন পর গত ২৫ আগষ্ট উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সম্মুখে ননজুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে লিখিত ও ব্যাংক চেক প্রদান করেন। পরবর্তীতে টাকা পরিশোধ না করার জন্য প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যার আশ্রায় নিয়ে রহিম ফরাজীকে প্রধান আসামী করে তার বোনের জামাই মোঃ বাবুল ভূইয়া ও ভাগিনা মোঃ শাহিন ভূইয়ার নামে কলাপাড়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৪৬৯/২০২০ নং একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
লিখিত বক্তব্যে আঃ রহিম ফরাজী বলেন, মোঃ ইউসুফ গাজী আমার পাওনা ১০ লক্ষ টাকা পরিশোধ করার জন্য সময় চেয়ে তিনশত টাকার মূল্যমানের নন জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে লিখিত এবং আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিঃ, আলীপুর শাখার চেক প্রদান করার সময় ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদ ভদ্র, ইউপি সদস্যা মোসাঃ মিনা রহমান, মহিপুর থানা শ্রমিকলীগ সভাপতি মোঃ আবুল কালাম ফরাজী ও আমার বড় ভাই আঃ মজিদ ফরাজী উপস্থিত ছিলেন। তিনি স্বইচ্ছায় ষ্ট্যাম্প ও ব্যাংক চেক দেয়ার পর আমার পাওনা দশ লক্ষ টাকা পরিশোধ না করার জন্য প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা কল্পকাহিনী সাজিয়ে বিভিন্নভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করে আসছেন।
রহিম ফরাজী তার লিখিত বক্তব্যে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে বস্তুনিষ্ঠ ও সঠিক তথ্য উপস্থাপন করে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ করেন।
এ বিষয় অনুসন্ধান করে দেখাযায়, তাদের মধ্যে ব্যবসায়ীক কোন লেনদেন ছিল না। তবে জমাজমি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা রহিম ফরাজী পাবে এমনটি বিভিন্ন তথ্য উপাথ্যর মাধ্যমে জানাযায়। তবে ইউসুব গাজী টাকা ফেরৎ দিয়েছে বল্লেও তার কোন প্রমান পাওয়া যায়নী বিধায় পক্ষদ্বয়ের মধ্যে বিরোধ রয়েছে।
অপারদিকে এঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৪ আগস্ট আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিঃ আলীপুর বন্দর শাখায় আঃ রহিম ফরাজীর সহযোগিতায় একটি সঞ্চয়ী হিসাব খুলে একইদিন নন এমআইসিআর চেক সংগ্রহ করে সেখান থেকে কয়েকটি ব্লাংক চেকে স্বাক্ষর করিয়ে রাখেন রহিম ফরাজী। এমনকি পরের দিন ওই চেকে ১০ লক্ষ টাকা লিখে চেক ডিজঅনার করেন। এখানে প্রশ্ন হচ্ছে একদিনের মাথায় চেক ইস্যু এবং চেক ডিজঅনার করা এটা কি করে সম্ভব।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউসুফ গাজী (০১৭৩৩-৭৬৫৯৯২) তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাকে আলীপুর একা পেয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে ষ্ট্যাম্প ও ব্যাংকের চেক নিয়েছেন আঃ রহিম ফরাজী।।