কুয়াকাটা ডেস্কঃ
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও জাতীয় শহিদ দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নিয়ম সম্পর্কে জানাতে অভিযান চালিয়েছেন কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র মোঃ আনোয়ার হাওলাদার । রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯ টায় অমর একুশে আলোচনা অনুষ্ঠানের শেষে তিনি জনগণের মধ্যে পতাকা ব্যবহারে সতর্কতা ও সচেতন করেন।
কুয়াকাটা পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে রাস্তার দুই পাশের বিভিন্ন দোকানে দোকানিদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। দেখা যায়, সবাইকে মেয়র মহোদয় পতাকা নামানোর জন্য অনুরোধ করছেন এবং দোকানিরা তাঁর কথামতো পতাকা নামালে তিনি পতাকা উত্তোলনের নিয়ম বলেন।
পৌরসভার পৌর মার্কেট থেকে শুরু করে জিরোপয়েন্ট সমুদ্র সেকত পর্যন্ত দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা মুলি বাঁশের শীর্ষে রেখে জাতীয় পতাকা টাঙিয়েছেন। পৌর মেয়র মহোদয় ব্যবসায়ীদের বুঝালেন, বিষয়টি সঠিক নয়।
জাতীয় পতাকা বিধিমালা-১৯৭২-তে (সংশোধিত ২০১০) জাতীয় পতাকা ব্যবহারের বিধিবিধান আছে।
জাতীয় পতাকা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের নিদর্শন। তাই সব সরকারি ভবন, অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভবনে সব কর্মদিবসে পতাকা উত্তোলনের বিধান রয়েছে। তা ছাড়া শহীদ দিবস ও জাতীয় শোক দিবসে বা সরকার প্রজ্ঞাপিত অন্যান্য দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার বিধান করা হয়েছে। অর্ধনমিত রাখতে হলে পতাকা উত্তোলনের নিয়ম হলো, অর্ধনমিত অবস্থায় উত্তোলনের আগে পতাকাটি পুরোপুরি উত্তোলন করে অর্ধনমিত অবস্থানে আনতে হবে এবং পতাকা নামানোর আগে পতাকাটি শীর্ষে উত্তোলন করে নামাতে হবে।
মেয়র মহোদয়ের মাঠ পর্যায়ের এই কার্যক্রমের সময় কথা হলো ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। বেশির ভাগই বললেন, তাঁরা বিষয়টি স্পষ্ট করে জানতেন না। এক ব্যবসায়ী বললেন, ‘ মেয়র মহোদয় অত্যন্ত সুন্দর করে নিয়মটি বুঝিয়ে দিয়ে নিজের হাতে পতাকা অর্ধনমিত করে পুনরায় উত্তোলন করেন।’
কুয়াকাটা পৌরসভার মাননীয় মেয়র মোঃ আনোয়ার হাওলাদার বলেন , ব্যবসায়ীরা সঠিক নিয়মে পতাকা উত্তোলন করেননি। তাঁরা পাইপ ও মুলি বাঁশের শীর্ষে জাতীয় পতাকা বেঁধে বাঁকা করে ঝুলিয়েছেন। কেউ কেউ জাতীয় পতাকা ভাঁজ করেও রেখেছেন।
সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেই মেয়র মহোদয় উদ্যোগ নিয়েছেন।