বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মহিপুর থানাধীন লতাচাপলী ইউনিয়নের তাহেরপুর গ্রামের স্কুল পড়ুয়া নাবালিকা (১৫)কে বিয়ের প্রলোভনে মাসের পর মাস ধর্ষন অতঃপর দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা; ভ্রুন হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে একই গ্রামের প্রতিবেশী মোঃ রাকিবুল ইসলাম(২৫) এর নামে।।
Have a peek at the Quality – Just as a affordable-papers.net site offers papers that are inexpensive does not mean that they are just the best.
প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে নাবালিকা স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুনাল আদালত পটুয়াখালী, একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২৬ অক্টোবর, ২০২০ মোসাঃ আমেনা বেগম (৫০) বাদী হয়ে প্রতিবেশী মোঃ রাকিবুল ইসলাম (২৫)কে আসামী করে মামলা দায়ের করে। অভিযুক্ত রাকিব একই এলাকার প্রতিবেশী আঃ রাজ্জাকের ছেলে।
সংশ্লিষ্ট তথ্য সুত্রে জানা গেছে, ভিকটিম মুসুল্লিয়াবাদ এ. কে. মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর নিয়মিত ছাত্রী। ভিকটিম স্কুলে যাওয়া-আসার পথে অভিযুক্ত রাকিব প্রতিনিয়ত রাস্তায় গতিরোধ করে এবং যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রস্তাব দিতে থাকে। রাকিবের কুপ্রস্তাবে ভিকটিম রাজি না হলে তাকে পর্যায়ক্রমে হত্যার হুমকি দেয়। এদিকে ভিকটিমের বসতগৃহে দুই নারী ও এক শিশু সদস্যের বসবাসের সুযোগে অভিযুক্ত রাকিব ভিকটিমকে একা ঘরে পেয়ে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ভিকটিম নাবালিকা দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরে। বিষয়টি অভিযুক্ত রাকিবকে জানানো হলে সে ভিকটিমকে পানীয় ঔষধ ও ট্যাবলেটের মাধ্যমে ভ্রুন হত্যা করে ফেলে। অতঃপর লোকলজ্জার ভয়ে প্রথমে বিষয়টি এরিয়ে যেতে ভিকটিমকে তার মায়ের কর্মস্থল ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়; সেখানেও বখাটে রাকিব উপস্থিত হয়ে বাসায় ভিকটিমের মায়ের অনুপস্থিতিতে ফের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় রাকিবের বন্ধুর বাসায় চার মাস সংসার করে উভয়। তারা মসজিদের ইমামের দ্বারা বিয়ের প্রাথমিক কার্যসম্পাদক করে। ঐদিকে অভিযুক্ত রাকিব চার মাসের মাথায় ভিকটিমকে ঢাকা একা ফেলে পালিয়ে যায় গ্রামে। অবশেষে উপায়ন্তর না পেয়ে ভিকটিম তার মায়ের সহযোগিতায় কিছুদিন পর গ্রামে আসে এবং বিষয়টি স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি ও এলাকার গন্যমান্যদের অবহিত করলে তারা বেশ কয়েকবার সালিশ মিমাংসায় ব্যার্থ হয়। ভিকটিমের পরিবারকে সঠিক বিচার পেতে লতাচাপলী (ইউপি) চেয়ারম্যান আনসার উদ্দিন মোল্লা ভিকটিমকে একটি ধর্ষণ মামলা এবং অভিযুক্তদের একটি গুম মামলা দায়ের পরামর্শ দেন ভিকটিমদের উপস্থিতিতেই। তারা বলেন আমরা উপায়ন্তর না পেয়ে মহিপুর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে তারা মামলা নেননি; বলেন যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করতে। তৎক্ষনাৎ পটুয়াখালী বিজ্ঞ নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করি।
এই ঘটনার বিষয় প্রতিবেশীরা একটি সমঝোতা ও মিমাংসা করতে অভিযুক্তদের সহায়তায় একলক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার দেনদরবার করতে প্রস্তাব দেওয়া হয় যার প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ মিলন (৫৫) সাংবাদিকদের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য দেন। যার বিনিময় হবে মামলা তুলে নেওয়া এবং ভিকটিমকে তালাক দেওয়া।
এ বিষয়ে ভিকটিমের মা আমেনা বেগম (৫০) বলেন, আমার সামান্য আয়ের সংসারে কোনোভাবে খেয়েপড়ে টিকে আছি। এই ঘটনার পরপর আমাকেসহ নানাবিধ নির্যাতনের মুখে রেখেছেন। রাকিব এখন বলছে সে বিয়ে করেনি! বিয়ের কোনো প্রমাণ নেই। রাকিব বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
আমি আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি, আমি এই ধর্ষক ও ভ্রুন হত্যাকারীর বিচার চাই। এখন সমাজের মধ্যে আমার মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। আমি কোথায় যাবো? আমার মেয়ের ইজ্জতের কি হবে?
এবিষয়ে অভিযুক্ত রাকিবুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সে ফোন রিসিভ করেনি।