বিশেষ প্রতিনিধি।।
এনজিওতে অর্জিত অভিজ্ঞতাকে তারা অন্যান্য সেক্টরের রিসার্চ বিভাগে কাজে লাগাতে পারেন। তাছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠানে CSR (Corporate Social Responsibility) সম্পর্কিত কাজগুলোতেও তাদের অভিজ্ঞতা প্রয়োজনীয়।
বিভিন্ন দেশ ভ্রমনঃএনজিওতে দেশের বিভিন্ন স্থানে কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি দেশের বাইরে কাজ করার বা প্রশিক্ষণ অর্জন করার অভিজ্ঞতা নেওয়া যায়। এখানে প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশ গমন অন্য যেকোন সেক্টরের চেয়ে বেশি। আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোতে ম্যানেজারদের বিভিন্ন পরিকল্পনা বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বিদেশে যেতে হয়। এছাড়া তারা বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রজেক্টের জন্য দক্ষ কর্মী আদান-প্রদান করে থাকেন।
অন্যান্য সুবিধা:
এনজিওতে নারীদের জন্য বিশেষ সুযোগ সুবিধা রয়েছে। এই সেক্টরটি কে বলা হয়ে থাকে ‘Women Friendly’। এখানে নারীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়ে থাকে। কোনো কোনো এনজিওতে যাতায়াত ভাতা পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের বেশি দেওয়া হয়। এছাড়া তাদের নিরাপত্তার দিকেও যথেষ্ট খেয়াল রাখা হয়।
এনজিওতে মৌলিক বেতনের পাশাপাশি বাড়ি ভাড়া, যাতায়াত ভাতা, উৎসব ভাতা, মাতৃত্বকালীন/পিতৃত্বকালীন ছুটি (পিতৃত্বকালীন ছুটি সাধারণত ১০ দিন) ইত্যাদি দেওয়া হয়। এছাড়া Hardship Allowance ও প্রদান করা হয়।উল্লেখ্য যে, আন্তর্জাতিক এনজিওগুলো যেহেতু বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করে, সেহেতু তারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি রাখে। কারণ, কোনো একটি দেশের কেউ যদি অনিরাপত্তাজনিত ঘটনায় আক্রান্ত হন, এনজিওকে তার জন্য বাকি সবকয়টি দেশে জবাবদিহি করতে হয়।
তবে এত কিছুর পরও একজন দক্ষ এনজিও কর্মী হতে হলে মানুসিক প্রস্তুতি সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন । এনজিওতে কোনো চাকরীপ্রার্থীকে কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে সবার আগে দেখা হয় প্রার্থী মানসিকভাবে উপযুক্ত কি-না। প্রজেক্ট সাপোর্ট সেকশনে কাজের ক্ষেত্রে মানসিক প্রস্তুতি মুখ্য বিষয় নয়, তবে মাঠপর্যায়ে চাকরীর জন্য প্রার্থীর থাকতে হবে সবার সাথে কাজ করার ও মেশার ইচ্ছা, মানুষকে জানার আকাঙ্ক্ষা, সমাজের উন্নয়নে উদ্যোগী মনোভাব।
মোট কথা হলো এনজিও তে কাজ করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এখানে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে,এখানে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ করানো হয় যে গুলো প্রাতিষ্ঠানিক ও বাস্তব জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বহুমাত্রিক পেশা হিসেবে আপনি এনজিওতে কাজ করতে পারেন তবে এর জন্য প্রয়োজন হচ্ছে ধৈর্য, কঠোর পরিশ্রম,মনবল সর্বোপরি সেবা করার মানুসিকতা থাকতে হবে। তাহলেই আপনি একজন আদর্শ ও দক্ষ সমাজকর্মী হিসেবে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবেন।