কুয়াকাটা ডেস্কঃ
পটুয়াখালী জেলার মহিপুর থানার কুয়াকাটায় একটি আবাসিক হোটেলে বিয়ের প্রলোভনে এক নারীকে। শনিবার রাতে আবাসিক হোটেল সোনার বাংলায় ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটেছে। এঘটনায় রবিবার ওই নারী বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষন মামলা দায়ের করেছেন। মহিপুর থানা পুলিশ হোটেল ম্যানেজার ও ধর্ষনে সহযোগী শামিমকে (২০) গ্রেফতার করে দুপুরে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে । মামলার প্রধান আসামী আল আমিন (২২) পলাতক রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ সাত মাস ধরে ওই যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষন করে আসছে আলআমিন (২২) নামের ওই যুবক। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল যুবতীকে কুয়াকাটা সোনার বাংলা হোটেলের ১০৪ নস্বর কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। পরে কক্ষের বাহির থেকে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যায় আল আমিন। পরে নির্যাতিতা ওই নারী তার পরিবারের কাছে ফোন দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবতীকে উদ্ধার করে।
নির্যাতিতা নারীর পরিবারের সদস্যদের সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিতা নারী এবং ধর্ষক আল আমিন ওই আবাসিক হেটেলে রুম ভাড়া নেওয়ার কোন তথ্য হোটেল রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত না করায় তাকেও ধর্ষন মামলার সহকারী হিসেবে মামলায় আসামী করা হয়েছে ।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, ধর্ষনে সহযোগিতাকারী শামিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে, মামলার প্রধান আসামী আল-আমিনকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে এবং নির্যাতিতা নারীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী পাঠানো হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান ।