বরগুনা প্রতিনিধিঃ থানায় সম্পর্ক রেখে সাধারণ মানুষকে হয়রানি সহ হুমকি দিচ্ছেনএক ইউপি সদস্য তার বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন কমতি নেই আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে তার নির্বাচনের বিরোধিতা করলে তাকে থানার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন রকমের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন, এমনকি মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছেন, স্থানীয়রা তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন।
বরগুনা সদর উপজেলার ৪ নং কেওরাবুনিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য লিটন মৃধা ২০১০ সালে নির্বাচিত হয়। দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচন করেন ২০১৫ সালে নির্বাচনে হেরে যান লিটন মৃধা হেরে যাওয়ার পরেই শুরু হয় তার তাণ্ডব, যারা তার নির্বাচন করেননি তাদেরকে মারধর করে। তার সহযোগীরা।
স্থানীয়রা বলেন, বিভিন্ন সময় ওরেন্টের কথা বলে অনেক মানুষকে হয়রানি করেছে। তার নির্বাচন না করলে মারধর করেন। থানার সাথে ভালো সম্পর্ক থাকায় তার কথা না শুনলে পুলিশের কথা বলে হয়রানি করে।
প্রতারণার শিকার রফিক বলেন, লিটন মেম্বার বলে তোমার ছোট ভাই সাগর নামে একটি মামলায় অরেন্ট হয়ে আছে ওকে একটু সেইভে থাকতে বল। আমি থানা ম্যানেজ করে দেব। এই কথা শুনে আমাদের খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে দোকানপাট বন্ধ করে আমার ছোট ভাই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। থানায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায় আমাদের নামে কোন মামলা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে জানাজানি হলে। লিটন মেম্বার এ বিষয়টি বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন।
হারুন মৃধা বলেন, লিটন মেম্বার এর পাশেই আমাদের বাসা আমাদের ফসলি জমি তাদের হাঁস মুরগি দিয়ে নষ্ট করে আমরা কিছু বলতে গেলে আমাদের খুনের হুমকি দেয় বিভিন্ন সময়ে আমাদের বাড়ি পুলিশ পাঠিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করেন, থানার সাথে ভালো সম্পর্ক থাকায় আমার ছেলেকে বিভিন্ন মামলায় সংযুক্ত করেন।
আলতাফ মুন্সি বলেন, বিগত দিনে দুই নির্বাচন তার হয়ে কাজ করেছি তার কর্মকাণ্ড দেখে এই নির্বাচনে ব্যক্তির স্বাধীনতা হিসেবে যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নিতে চাই তাই আমি তার নির্বাচন না করায় আমাকে প্রকাশ্যে হুমকি, দোকানে বসে গালাগাল ও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।বিভিন্ন সময় আমাদেরকে হয়রানি করে আসছেন এই সাবেক মেম্বার। আমরা এই থেকে মুক্তি চাই।
খালেক বলেন, গত নির্বাচনে লিটন মৃধা হেরে যাওয়ায় যারা তার নির্বাচন করেননি তাদেরকে মারধর করে একপর্যায়ে আমার দোকানে উঠে আশ্রয় নেয় তাতে ক্ষান্ত হননি তার লাঠিয়াল বাহিনী আমাকেও মারধর করেন। এখনো আমি সেই ব্যথায় ভুগতেছি, হাজার হাজার টাকার ঔষধ করালেও সেই খরচা লিটন নাম্বার দেন নি আমাকে।
অভিযুক্ত লিটন বলেন, আমার কাছে পুলিশ এসে একজনের নাম জিজ্ঞেস করলে আমি সেই ব্যক্তির সাথে কথা বলেছি। তবে ওয়ারেন্টভুক্ত সে আসামি এমন কথা আমি বলিনি। যারা আমার বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ করেছে সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এ এস আই বাসার বলেন, আমি ঐ এলাকার ২/৩ ব্যক্তির তথ্য জানার জন্য দুই একজন জনসাধারণের কাছে জিজ্ঞেস করেছি। তবে মেম্বারকে আমি চিনি। তবে তার সাথে আমার কারো ওয়ারেন্টের বিষয় কোন কথা হয়নি।লিটন মেম্বার পুলিশের নাম বিক্রি করে যে অপরাধ করেছে এটা আইনি প্রক্রিয়ায় একটি বড় ধরনের অপরাধ।
বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ কে. এম. তারিকুল ইসলাম বলেন,এই হয়রানির বিষয় আমার জানা নেই! তবে যদি আমাদের কেউ এই হয়রানির সাথে জড়িত থাকে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। তিনি আরো বলেন ,লিটনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডাকা হয়েছে, ঘটনার সত্যতা প্রমাণ মিললে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।